ঢাকা: বৃহস্পতিবার ভারতের কাছাড় জেলার কাটিগড়ায় বাংলাদেশি যুবক ময়বুল হককে অবৈধ প্রবেশের দায়ে গ্রেফতার করেছে ভারতীয় পুলিশ।
পুলিশ সুপার দিগন্ত বরা জানান, তাকে ভারতে অনধিকার প্রবেশের জন্য বিদেশি আইনে গ্রেফতার করা হলেও তার বিরুদ্ধে বৃটেনে স্ত্রীকে হত্যার মামলা রয়েছে।
তিনি আরও জানান, জিজ্ঞাসাবাদের সময় ময়বুল তার স্ত্রী জুলিকে হত্যার কথা স্বীকার করে। ময়বুল জানায়,সাত বছর আগে লন্ডনে স্ত্রীকে খুন করে বাংলাদেশে তার বাড়িতে পালিয়ে আসে। পরে সেখানে ব্রিটিশ পুলিশ হানা দিলে ময়বুল সেখান থেকে পালিয়ে ভারতের মেঘালয়ে চলে আসে।
পুলিশ সুপার বলেন, “ব্রিটিশ পুলিশের একটি দল ৬মাস আগে কাছাড়ে আসলে আমরা ময়বুলের কথা জানতে পারি। সে সময় তাকে খুঁজে পাওয়া না গেলেও বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ পুলিশের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ তাকে কাছাড় জেলার কাটিগড়ায় গ্রেফতার করে। ”
ময়বুল পুলিশকে জানায়, তার বাড়ি বাংলাদেশের গোপালগঞ্জে। ১১ বছর আগে একই এলাকার জুলিকে বিয়ে করে সে। জুলির বাবা দীর্ঘ দিন ধরে লন্ডনে কর্মরত হওয়ায় তারাও সেখানে চলে যায়। ময়বুল সেখানে একটি রেস্তোরাঁয় কাজ করত।
বাংলাদেশে থাকাকালে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সমস্যা না হলেও লন্ডনে আসতেই তার স্ত্রীর আচার-আচরণ বদলে যায়। এই কারণে তারা ২ বছর আলাদাও থাকে।
কিন্তু সন্তানের টানে ময়বুল স্ত্রীর কাছে ফিরে আসলে আবার অশান্তি শুরু হয়। ২০০৬ সালের জানুয়ারি মাসে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে ঝগড়ার এক পর্যায়ে ময়বুল বালিশ চাপা দিয়ে জুলিকে হত্যা করে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে।
ময়বুল আরও জানায়, ভারতে পালিয়ে আসার পর আসামের কাছাড় জেলার কাটিগড়া থানা এলাকার কলাছড়িরপারের একটি বাড়িতে সে চাকরি পায়। পরবর্তীতে সে ওই বাড়িরই একটি মেয়েকে বিয়েও করে।
উল্লেখ্য, ভারতীয় পুলিশ ময়বুলের আটকের ঘটনা ব্রিটিশ পুলিশকে ইতোমধ্যে জানিয়েছে। তারা জানান, ব্রিটিশ পুলিশ ময়বুলকে নিয়ে যেতে চাইলে তারা কূটনৈতিক স্তরে এ ব্যাপারে কথা বলতে রাজি আছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৩
সম্পাদনা: বুশরা ফারিজমা হুসাইন, এসএস