ঢাকা: ভারতীয় নাগরিক সংকেত সেন্ট দেশ ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান ২১ বছর বয়সে। ভারত থেকে প্রকৌশল বিদ্যায় মাস্টার্স করেন সংকেত সেন্ট।
যুক্তরাষ্ট্রে দীর্ঘ ১৪ বছর অতিবাহিত করলেও সংকেত সেন্ট এখনো নিজেকে যুক্তরাষ্ট্রের একজন আগন্তুক হিসেবেই দেখেন।
কারণ দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছে স্থায়ীভাবে থাকার জন্য গ্রীনকার্ডের আবেদন করেও পাননি তিনি। আবেদন করার পর ছয় বছর পার হলেও এখনও অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে তার গ্রীনকার্ডটি। ফলে গ্রীনকার্ড নিয়ে এখন অনেকটাই হতাশ তিনি।
শুধু সেন্ট নয়, এরকম প্রায় দেড় লক্ষাধিক গ্রীনকার্ডের আবেদন পড়ে আছে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকারের কাছে।
তবে এবার দেশটির কংগ্রেস যুক্তরাষ্ট্রে একপ্রকার অবৈধভাবে থাকা এসব অভিবাসীদের গ্রীনকার্ড সমস্যা দূর করতে পদক্ষেপ নিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট জুডিশিয়ারি কমিটি বৃহস্পতিবার নতুন একটি অভিবাসী আইনের খসড়া অনুমোদন করেছে। এই আইনের বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে বিজ্ঞান, গনিত এবং প্রকৌশল বিদ্যায় ডিগ্রীধারীরা সহজেই গ্রীন কার্ড পাবেন।
তবে প্রতিটি দেশ থেকে ঠিক কতজন করে গ্রীন কার্ড পাবে তা ঐ দেশের জনসংখ্যার ঘনত্বই ঠিক করে দেবে।
যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে গ্রীনকার্ড সহজীকরণে নতুন এই আইন দেশটির দুই দলের সংসদ সদস্যরাই সমর্থন করেন। প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রায় অর্ধেকের বেশি বিদেশী ছাত্র-ছাত্রী।
ফেইসবুক, মাইক্রোসফটের মতো বিশ্বখ্যাত টেকনোলজি কোম্পানিগুলো যুক্তরাষ্ট্রের এসব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরো ছাত্র-ছাত্রী নিয়োগ দিতে চায়। আর এজন্যই তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে গ্রীনকার্ড সহজীকিকরণে লবিং করে আসছিল।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের অনেক প্রযুক্তিবিদই নতুন এই আইনের বিরোধীতা করেছেন। এর ফলে আমেরিকান শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার হুমকির মুখে পড়বে বলে অনেক বিশেষজ্ঞ মত দেন।
আর এইচ-১বিএস নামে পরিচিত ওয়ার্কার ভিসার অধীনে যেসব শ্রমিকরা যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করছেন তাদের গ্রীনকার্ড সম্পর্কে নতুন এই অভিবাসন আইনে কিছুই বলা হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রে আসা প্রতি তিনজনের একজন এই এইচ-১বি ভিসার অধীনে কাজ করছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, ২৪ মে, ২০১৩
সম্পাদনা: কবির হোসেন, নিউজরুম এডিটর