ঢাকা: সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমের বাইরে দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করার পরেও টানা ছয় দিনের মতো দাঙ্গা চলছে।
অভিবাসী অধ্যুষিত উপশহরগুলোতে গাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তবে পূর্ববতী দিনগুলোর মতো ভয়াবহ ছিল না শনিবারের দাঙ্গা।
দমকল বাহিনী জানিয়েছে, ৭০টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার এ সংখ্যা ছিল ৯০।
শুক্রবার প্রথমবারের মতো দাঙ্গা রাজধানী থেকে বাইরে ছড়িয়ে পড়ে। রাজধানীর বাইরে ক্ষুব্ধ যুবকরা যানবাহনে আগুন জ্বালিয়েছে, দুটি শহরের বেশ কয়েকটি ভবন আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।
একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের এক সংবাদদাতা জানিয়েছে, দাঙ্গা কবলিত এলাকাগুলো বৈষম্যের শিকার এবং সেসব এলাকায় বেশি বেকারত্ব। সুইডেনে এক সময়ে যে সাম্যের কথা বলা হতো-তার সঙ্গে বাস্তবের বিস্তর ফারাক।
যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য ইতোমধ্যে দাঙ্গা চলমান এলাকাগুলো এড়িয়ে চলার পরামশ দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে স্টকহোমের হাসবাই, হাগসাত্রা, রেগসভেড, স্কোগ্যাগে সমাবেশ থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে।
গত রোববার হাসবাইতে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়। এ থেকেই সূত্রপাত ঘটে সহিংসতার। রাজধানীর উত্তর-পশ্চিমের অভিবাসী অধ্যুষিত হাসবাই সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকে অনেকটা বঞ্চিত।
এক সপ্তাহ আগে পুলিশের গুলিতে এক বৃদ্ধ মারা যাওয়ার পরেই সহিংসতা শুরু হয়। পুলিশের দাবি, ওই ব্যক্তি চাপাতি দিয়ে তাদের খুন করতে চেয়েছিল।
দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণে শুক্রবার স্টকহোমের পুলিশ শক্তি বাড়ানো হয়। সাধারণ পুলিশের সঙ্গে যোগ দেয়ে গোথেনবার্গ ও মালমো শহর থেকে বিশেষ প্রশিক্ষিত পুলিশ সদস্যরা রাজধানীতে এসেছে।
ইতোমধ্যে দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণে আনতে অভিভাবক ও কমিউনিটি নেতাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী ফ্রেডেরিক রেইনফেল্ডট। কিন্তু তারপরও দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৭ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৩
সম্পাদনা: শরিফুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর, eic@banglanews24.com