ঢাকা: ড্রোন (চালকবিহীন বিমান) শব্দটি শুনলেই মনে হয় কোনো ‘জঙ্গি’ গোষ্ঠীর ওপর হামলার যন্ত্র। ড্রোন হামলায় ইতোমধ্যে আফগানিস্তান-পাকিস্তানে নিহত হয়েছে অনেক লোক।
যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও আফ্রিকান ড্রোন ব্যবহার করছে পরিবেশ সংরক্ষণবাদী গোষ্ঠীগুলো। অবৈধভাবে মৎস শিকার, পশু শিকারসহ বিভিন্ন পরিবেশ পরিপন্থি কাজের ওপর নজর রাখছে পরিবেশ সংরক্ষণবাদী গোষ্ঠীগুলো।
একটি আন্তর্জাতিক পরিবেশবাদী গোষ্ঠীর সাবেক প্রধান নির্বাহী স্টিভ রোয়েস্ট জানান, আগের চেয়ে বেসামরিক চালকবিহীন বিমানের দাম অনেক কমে গেছে যার কারণে এটি বেসামরিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার হচ্ছে।
তিনি বলেন, “কয়েক বছর আগে যে বিমান কিনতে ৩০ হাজার মার্কিন ডলার লাগত এখন সেটি পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৫ হাজার মার্কিন ডলারে। ”
২০১২ সালে শ্যাডোভিউ ও লিগ অ্যাগেইনস্ট ক্রুয়েল স্পোর্টস নামের দুটি পরিবেশবাদী প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে কাজ করে ব্রিটেনের অবৈধ শিকার নজরদারি করা জন্য। খুব শিগগির তারা ভূমধ্যসাগরে দ্য ব্ল্যাক ফিশ নামের নজরদারি আরেক গোষ্ঠীর সঙ্গে কাজ করতে যাচ্ছে।
ব্ল্যাক ফিশের পরিচালক উইতশে ভ্যান ডের উরেফ জানান, নিষিদ্ধ জাল শনাক্ত করতে সাগরের ২০ বা এর বেশি মাইল জুড়ে ড্রোন পাঠানো হবে। ওসব নিষিদ্ধ জাল ফেলে হাজার হাজার শার্ক ও অন্যান্য সংরক্ষিত মাছ হত্যা করা হয়।
তিনি বলেন, “ড্রোন(ব্যবহার)দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য নয়। আমরা এগুলো ব্যবহার করব অপরাধীদের শনাক্ত করতে এবং তাদের শাস্তি দিতে। ”
ড্রোনের দাম কমায় বেসামরিক উদ্দেশ্যেও এর ব্যবহার হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রে জঙ্গলের ভেতর অবৈধভাবে কুকুর ও বিড়ালছানা প্রজনন খামারগুলোর অবস্থান শনাক্ত করতে বেসামরিক ড্রোন ব্যবহৃত হয়।
দক্ষিণ আফ্রিকায় গণ্ডার পাচার রোধ করতে সীমিত পাখার ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে।
নেপাল ও আফ্রিকায় ড্রোন ব্যবহারের জন্য গুগল থেকে অনুদান পেয়েছে ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ডলাইফ ফান্ড।
পরিবেশবাদীরা বলছেন, এ প্রযুক্তি পশু হত্যা, বন নিধনের মতো অপরাধের বিস্তার রোধ করতে সহায়তা করবে।
তবে বেসামরিক ড্রোনের ব্যবহার নিয়েও সমালোচনা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরি ও ইদাহো অঙ্গরাজ্যের কৃষক ও পশু শিকারিদের গোষ্ঠীরা ড্রোনের ব্যবহার সীমিত করতে আইন পাসের জন্য চাপ দিচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫২ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০১৩
সম্পাদনা: শরিফুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর- eic@banglanews24.com