কলকাতা: চলে গেলেন প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষ। সমস্ত চলচ্চিত্র প্রেমীদের কাঁদিয়ে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় সকাল ৮টা নাগাদ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে এই প্রখ্যাত পরিচালক ৪৯ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।
১৯৯২ সালে ছোটদের জন্য ‘হিরের আংটি’ সিনেমার মাধ্যমে পথ চলা শুরু হয় ঋতুপর্ণ ঘোষের চলচ্চিত্র জীবনের। আর ১৯৯৪-এ ‘উনিশে এপ্রিল’ দ্বিতীয় সিনেমাতেই পান জাতীয় পুরস্কার। ১৯৯৪ থেকে ২০১৩, মাত্র ১৯ বছরের মধ্যেই ঋতুপর্ণ ঘোষ নির্মাণ করেছেন ১৯টি ছায়াছবি। প্রত্যেকটি ছবিই সাফল্য অর্জন করেছে। ১৯টি চলচ্চিত্রের মধ্যে ১২টি জাতীয় পুরস্কার জয় করেছে। সত্যজিৎ রায়, মৃণাল সেন, ঋত্বিক ঘটক পরবর্তী বাংলা সিনেমার নতুন এক ধারা তৈরি করেছিলেন ঋতুপর্ণ ঘোষ।
খ্যাতিমান এই শিল্পীর শেষ চলচ্চিত্র ‘চিত্রাঙ্গদা’। অসম্পূর্ণ রয়ে গেল তাঁর ‘ব্যোমকেশ বক্সী’। খ্যাতিমান এই পরিচালক চলচ্চিত্রপ্রেমীদের উপহার দিয়েছেন দহন, উসৎব, চোখের বালি, দোসর, রেইনকোট, শুভ মহরত, সব চরিত্র কাল্পনিক, নৌকাডুবি’র মতো দর্শকপ্রিয় সিনেমা। এছাড়াও তিনি কয়েকটি ছবিতে নিজেও অভিনয় করেছেন। শুধু চলচ্চিত্র পরিচালনার গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ ছিল না তাঁর চলচ্চিত্রের প্রতিভা। দুটি বহুল প্রচলিত বাংলা ম্যাগাজিনের সম্পাদক হিসেবেও দাপটে কাজ করেছেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত ৯ ফেব্রুয়ারি দুই বাংলায় একসাথে অর্থাৎএকই দিনে এবং সময়ে যাতে দুই দেশে বাংলা চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা যায় সেজন্য কলকাতায় ঋতুপর্ণ ঘোষ, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এবং দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা ফেরদৌস, প্রসেনজিৎ, জিৎ ছাড়াও বিশিষ্ট জনের উপস্থিতিতে একটি চুক্তি সাক্ষরিত হয়। এই চুক্তি সম্পাদনে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন ঋতুপর্ণ ঘোষ।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৭ ঘণ্টা, ৩০ মে, ২০১৩
শেখর বৈদ্য/সম্পাদনা: জনি সাহা ও এম জে ফেরদৌস, নিউজরুম এডিটর