কলকাতা: ভারতে জনবহুল জায়গায় ধূমপান নিষিদ্ধ হলেও কোনও ভাবেই তা মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ জানিয়েছে ধূমপানের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত সমাজকর্মী ও সংগঠন গুলি।
শুক্রবার ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (হু)- এর ঘোষিত বিশ্ব তামাক বর্জন দিবসে এ অভিযোগ জানানো হয়।
জানা গেছে, পাঁচ বছর আগেই ভারতে জনবহুল জায়গায় ধূমপান নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া ২০০৩ সালে পাশ হওয়া সিগারেট অ্যান্ড টোব্যাকো প্রডাক্ট অ্যাক্ট (সি ও টি পি এ) রয়েছে।
এ আইনে বলা হয়েছে কোনো জনবহুল এলাকা, বিদ্যালয়ে সিগারেট বা তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার এবং বিক্রি করা যাবে না। ১৮ বছরের কম বয়সী কারো কাছে কোনো সিগারেট বা তামাক বিক্রি করা সম্পূর্ণভাবে বেআইনি।
এই আইনে এ কথাও বলা আছে, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সিগারেটের বা কোনো তামাক জাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন করা যাবে না।
কিন্তু বাস্তবে এ আইন কেউ মেনে চলছে না। গ্রাম-শহরের সব জায়গায় চলছে অবাধে তামাকের ব্যবহার। বিদ্যালয়ের কাছেই পাওয়া যাচ্ছে তামাকজাত দ্রব্য। ছাত্ররা অবাধেই ধূমপান করছে। অফিস, বাজার , বাস স্ট্যান্ড, এমনকি ট্রেনের কামড়ার ভেতরেও চলছে অবাধে তামাক সেবন।
সিগারেটের ধোঁয়া ও এর অবশিষ্টাংশ এবং গুটখা’র পিক দিয়ে নোংরাসহ পরিবেশ দূষিত করা হচ্ছে। এর থেকে বাদ যাচ্ছে না হাসপাতাল কিংবা ধর্মীয় জায়গাগুলিও।
ভলেন্টিউয়ার হেলথ অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া (ভি এইচ এ আই)- এর পরিচালক বন্দনা মুখোপাধ্যায় বলেন, ”আইন প্রয়োগের শিথিলতার কারণেই এই প্রবণতা আরও বেড়ে যাচ্ছে। দেশ জুড়েই পরোক্ষভাবে তামাক জাত পণ্যের বিজ্ঞাপন চলছে।
এর ফলে দিনের পর দিন মানুষ তামাক সেবনে আকৃষ্ট হচ্ছে, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম। সরকার চেষ্টা করছে কিন্তু আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে আরও কঠোর হতে হবে।
ভারতে প্রতি বছর ১০ লক্ষ মানুষ ধূমপানের ফলে মারা যান। এদের মধ্যে ১০% নিজে তামাক সেবন না করলেও পরোক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ফলে মারা যায়।
কিছুদিন আগে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে পশ্চিমবাংলায় নিষিদ্ধ হয়েছে গুটখা বিক্রি। গোটা ভারত জুড়ে সিগারেটের প্যাকেটের উপর লেখা হচ্ছে ক্যান্সার- এর সতর্কীকরণ। রেস্তরাঁয় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে ধূমপান। কিন্তু দরকার আরও সচেতনতার।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৯ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০১৩
ভাস্কর/সম্পাদনা: মাহমুদুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর, এসএস