ঢাকা, শুক্রবার, ২৮ ভাদ্র ১৪৩২, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক

বিশ্বের ইলেক্ট্রনিক বর্জ্যাগার চীন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:৩৩, মে ৩১, ২০১৩
বিশ্বের ইলেক্ট্রনিক বর্জ্যাগার চীন

ঢাকা: ল্যাপটপ, ডেস্কটপ, সেলফোন, টেলিভিশন, রেফ্রিজারেটরসহ বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী ব্যবহারের অযোগ্য হলে আপনি হয়তো ফেলে দেন। কিন্তু এগুলোর অনেকগুলো আপনার স্থানীয় ওই বর্জ্যাগারে আর থাকে না, সেগুলো চলে যায় বিশ্বের ইলেক্ট্রনিক বর্জ্যাগার চীনে।



সম্প্রতি জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “চীন বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ইলেক্ট্রনিক বর্জ্য ফেলার স্থান হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে। ”

গ্রিনপিসের বেইজিং কার্যালয়ের মুখপাত্র মা তিয়ানজি বলেন, “জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী বিশ্বের ইলেক্ট্রনিক বর্জ্যের ৭০ শতাংশের শেষ ঠিকানা চীন। ”

অধিকাংশ (ইলেক্ট্রনিক) বর্জ্য আসে অবৈধভাবে কেননা জাতিসংঘের কনভেনশন অনযায়ী যু্তরাষ্ট্রের মতো উন্নত দেশগুলো থেকে চীন ও ভিয়েতনামের মতো দেশগুলোতে ইলেক্ট্রনিক বর্জ্য পাঠানো নিষিদ্ধ। ”

গত দশক ধরে চীনের প্রধান শিল্প এলাকা দক্ষিণাঞ্চলের গুইয়ু ইলেক্ট্রনিক বর্জ্য ফেলার প্রধান কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। সারা বিশ্বে থেকে আসা ওইসব বর্জ্য ভাঙার কাজে নিয়োজিত হাজার হাজার মানুষ।

শহরটির প্রতিটি রাস্তায় এসব বর্জ্যের স্তূপ। রাস্তার এপাশে সবুজ আর গোলাপি রংয়ের সার্কিট বোর্ডের স্তূপ তো অন্য পাশে ডেস্কটপ কম্পিউটারের যন্ত্রাংশের স্তূপ। এগুলো থেকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অংশ বের করে কিছুটা ঝালাই করে বিক্রিও করা হয়।

খুব সম্ভবত চীনের ওই শহরটি ইলেক্ট্রনিক বর্জ্য রিসাইকেল (পুনরায় ব্যবহারের যোগ্য)করার ক্ষেত্রে বিশ্বের সবচেয়ে রিসাইকেল অঞ্চল। কিন্তু গুইয়ুর রিসাইক্লিং করা নোংরা ও বিপজ্জনক কাজ।

গ্রিনপিসের বেইজিংয়ের মুখপাত্র মা তিয়ানিজি বলেন, “রিসাইক্লিং যখন সঠিকভাবে কর হয়, তখন তা পরিবেশের জন্য ভালো। কিন্তু চীনের মতো আদিম পদ্ধতিতে ইলেক্ট্রনিক বর্জ্য রিসাইকেল করা হয় তখন তা স্থানীয় পরিবেশের জন্য খুবই ভয়ানক। ”

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৭ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০১৩
সম্পাদনা: শরিফুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর,

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।