কলকাতা:কলকাতার উপকণ্ঠে হাওড়া লোকসভা কেন্দ্রে রোববার ভোটগ্রহণ চলছে। এই কেন্দ্রের সাবেক সাংসদ, তৃণমূল নেতা অম্বিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রয়াণের ফলে লোকসভা আসনটি খালি হয়ে যায়।
মোট ১৭ জন প্রার্থী এবারের নির্বাচনে লড়াই করছেন। এদের মধ্যে অন্যতম হলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী সাবেক ফুটবল খেলোয়াড় প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, বামফ্রন্টের প্রার্থী শ্রীদীপ ভট্টাচার্য এবং জাতীয় কংগ্রেস প্রার্থী আইনজীবী সনাতন মুখোপাধ্যায়।
এই নির্বাচনকে ঘিরে অভূতপূর্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে। ৭টি বিধান সভা কেন্দ্র নিয়ে গঠিত লোকসভা কেন্দ্রে ১৮৫১টি ভোটদান কেন্দ্র রয়েছে। ভোটদান কেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তার জন্য ৩০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও থাকছে রাজ্য পুলিশও।
কেন্দ্রের প্রতিটি বুথে রয়েছে নির্বাচন কমিশনের একজন করে পর্যবেক্ষক (মাইক্রো অবজারভার)। পর্যবেক্ষকদের কাছে থাকছে বিশেষ ধরনের অ্যানড্রয়েড ফোন। এর মাধ্যমে এনারা বুথের সমসাময়িক পরিস্থিতির ছবি তুলে সরাসরি দিল্লির নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে পাঠাতে পারবে। এছাড়া নির্দিষ্ট সময় পর পর ভোট গ্রহণের তথ্য তাদের এসএমএস করে নির্বাচন কমিশন দপ্তরে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
১০০০ বুথে লাগান হয়েছে গোপন ক্যামেরা। দুটি বিশেষ গাড়ি গোটা নির্বাচন কেন্দ্র ঘুরে বিভিন্ন জায়গার ছবি স্যাটেলাইটের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে পাঠাতে থাকবে। এছাড়া গুগল ম্যাপ ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে বিশেষ নজরদারি ব্যবস্থা।
প্রসঙ্গত, বিজেপি এই নির্বাচনে প্রার্থী দিলেও পরে প্রত্যাহার করে নেয়। আর তার ফলেই তৃণমূল-বিজেপি অলিখিত আঁতাত নিয়ে সরগরম হয়েছে রাজনৈতিক মহল।
হাওড়া অঞ্চলে সংখ্যালঘু ভোট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন বিধানসভার হিসেব ধরলে গড়ে প্রায় ২৫% সংখ্যালঘু ভোটার এই লোকসভা কেন্দ্রে বর্তমান। রাজনৈতিক মহল মনে করছেন সংখ্যালঘু ভোট নির্বাচনের ফলাফলে যথেষ্ট প্রভাব বিস্তার করবে।
গত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী অম্বিকা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রায় ৩৭,৩০০ ভোটে জয়লাভ করেছিলেন। এর পরে বিধানসভা নির্বাচনে এই ব্যবধান তৃণমূলের পক্ষে বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় ১,৬৪,০০ ভোটে। দুই বছরের তৃণমূলের রাজ্য পরিচালনা এবং বিগত দিনে ঘটে যাওয়া সারদা চিট ফান্ড কেলেঙ্কারি ভোটের যন্ত্রে কি প্রভাব ফেলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের কাছে সেটাই অন্যতম দেখার বিষয়। আগামী ৫ জুন ভোটের ফলাফল প্রকাশ হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৫ ঘণ্টা, জুন ০২, ২০১৩
ভাস্কর/সম্পাদনা: আবু হাসান শাহীন, নিউজরুম এডিটর; এনএস