আগরতলা (ত্রিপুরা): বাংলাদেশের র্যাবের এক সদস্যকে জেল হাজতে পাঠালেন ত্রিপুরার এক আদালত। র্যাবের ওই সদস্যের নাম মিলন হোসেন।
পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, শনিবার দুপুরে আটজন বাংলাদেশি ঢুকে পড়ে ত্রিপুরা সীমান্তের ভেতর। তারা নাজমা খাতুন এবং বকুলা বেগম নামে দুই নারীর বাড়িতে যান। সেখানে তারা ফেনসিডিল চান। এরপর ওই বাড়ির সদস্যদের সঙ্গে ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়েন। প্রথমে কথা কাটাকাটি। পরে তা হাতাহাতিতে পরিণত হয়। বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী মিলনকে ধরে ফেললেও বাকিরা সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
গ্রামবাসী মিলনকে তুলে দেয় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের হাতে। পরে বিএসএফ জওয়ানরা তাদের হস্তান্তর করে কলমচৌরা থানার কাছে।
এদিকে বিএসএফ মিলনকে আটক নিয়ে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবির সঙ্গে পতাকা বৈঠক করেন। বৈঠকটি শনিবার মধ্যরাত পর্যন্ত চলে। কিন্তু বিজিবি মিলনকে চিনে না বলে তাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনতে অস্বীকার করে।
একটি সূত্রে জানা গেছে মিলন হোসেনের আসল নাম মিলন মিয়া। তিনি র্যাবের সদস্য নন। সে কাজ করত র্যাবের সোর্স হিসাবে। তিনি ফেন্সিডিল এবং গাঁজার পাচারকারীদের খোঁজে প্রবেশ করে সীমান্তের পার হন তারপর এপারের পাচারকারীরা তাকে তুলে দেয় বিএসএফ’ র হাতে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, জুন ৩, ২০১৩
সম্পাদনা: কবির হোসেন, নিউজরুম এডিটর