ঢাকা: থাইল্যান্ড থেকে বছরে প্রায় ২ লাখ কুকুর ভিয়েতনামে পাচার হয়ে যাচ্ছে। আর এগুলোর শেষ ঠিকানা হচ্ছে ভিয়েতনামের বিভিন্ন রেস্তোঁরা।
পশু সংরক্ষণবাদীদের দাবি, ভিয়েতনামে প্রতি বছর ১০ লাখের বেশি কুকুরকে হত্যা করা হয় মাংসের জন্য। আর একটি একটি বড় অংশের যোগান দেওয়া হয় থাইল্যান্ড থেকে।
জন্ম স্থান থেকে মৃত্যুস্থানে কুকুরগুলোকে নিয়ে যাওয়া হয় ‘অসহ্যনীয়’ কষ্টের মধ্যে।
পশু সংরক্ষণ সংস্থা অ্যানিমেলস এশিয়া ফাউন্ডেশনের ভিয়েতনাম শাখার পরিচালক তুয়ান বেনডিক্সেন বলেন, “পাচার করার সময় খাঁচায় গাদাগাদি করে যখন কুকুর গুলোকে নিয়ে আসা হয়। সেই অস্বস্থিকর পরিবেশে তারা একজন-অন্যজনকে কামড়ে আহত করে। ভিয়েতনামে আসার পরেও তাদের এই কষ্টের অবসান হয় না। ”
ভয় আর পরিশ্রমে কারণে কুকুরের হরমোন নিঃসৃত হয়। এর ফলে মাংসের স্বাদ বৃদ্ধি পায়। এ কারণেই কুকুরগুলোকে কষ্টকর পরিবেশে রাখা হয়।
তুয়ান বেনডিক্সেন আরও বলেন, “কুকুররা খুবই বুদ্ধিমান তাই একটিকে মেরে ফেলা হলে, নিজের মারা গেলেই তারা বুঝতে পারে পরে কি হতে যাচ্ছে। পাচারকারীদের মূল লক্ষ্য থাকে পোষা কুকুর। ”
এসব কুকুরের আচরণ হয় বন্ধুসুলভ হওয়ায় ধরা সহজ। থাইল্যান্ডে এটি ‘সোই’ নামে পরিচিত।
সোই ডগ ফাউন্ডেশনের জানায়, প্রায় ৯৮ ভাগ সোই কুকুরই গৃহপালিত হয় এবং আদেশ মেনে চলতে অভ্যস্ত হয়। সোই কুকুর কেউ কিনে নেয় , আবার কেউ রাস্তা, প্রার্থনাস্থল বা অন্যের বাগান থেকেও তুলে নিয়ে যায়।
ভিয়েতনামে শীতকালে কুকুরের চাহিদা বেড়ে যায়। ভিয়েতনামে এটি ‘গরম খাবার’ হিসেবে জনপ্রিয়।
থাইল্যান্ডে কুকুর বিক্রি বাণিজ্য নিষিদ্ধ হলেও কুকুর বিক্রিকারীদের দাবি, এ সংক্রান্ত আইন অপরিষ্কার।
সোই ডগ ফাউন্ডেশন ও দ্য থাই সোসাইটি ফর দ্য প্রিভেনশন অব ক্রুয়েলিটি টু অ্যানিমেলস এর পাশাপাশি থাইল্যান্ডের প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয় এই অবস্থা পরিবর্তনের চেষ্টা করছে। এরই মধ্যে থাইল্যান্ডের পার্লামেন্টে একটি খসড়া আইনও পাশ হয়েছে। বিদ্যমান আইনে, কুকুর পাচারকারীদের মাস খানেক জেল দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫২ ঘণ্টা, জুন ০৩, ২০১৩
আবু তালহা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট/ সম্পাদনা: শরিফুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর, eic@banglanews24.com