ঢাকা, শনিবার, ২৯ ভাদ্র ১৪৩২, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক

অনলাইনের বিয়ে দীর্ঘস্থায়ী হয়!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:০১, জুন ৪, ২০১৩
অনলাইনের বিয়ে দীর্ঘস্থায়ী হয়!

ঢাকা: ফেসবুক, টুইটার, লিঙ্কড ইন, গুগল প্লাস, ব্লগ ইত্যাদি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম মানুষকে মুখোমুখি আ‌ড্ডা থেকে অনেক দূর সরিয়ে নিয়ে এসেছে। মানুষের জীবনাচরণে এনেছে ব্যাপক পরিবর্তন।

মেয়ে বা ছেলের জন্য বর বা কনে দেখার ঝক্কি-ঝামেলায় আর জড়াতে হচ্ছে না বাবা-মাকে। অনলাইনে যোগ্য পাত্র খুঁজে নিচ্ছে তার যোগ্য পাত্রীকে। একইভাবে মেয়েরাও।

আমাদের দাদার প্রজন্মরা বিষয়টি যতোটা ট্যারা চোখে দেখুন না কেন অনলাইনে পরিচয়, প্রেম এবং সবশেষে দাম্পত্য জীবনে যারা প্রবেশ করেন তাদের দাম্পত্য জীবনই বেশি স্থায়ী হয়! এ দম্পতি বেশি সন্তুষ্ট থাকে এবং তাদের বিচ্ছেদও হয় কম। একটি নতুন গবেষণায় এমন দাবি করা হয়েছে।

অনলাইন ডেটিং সাইট ‘ই হারমনি’র অর্থসহায়তা দিয়েছে। গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে প্রসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সে।

সংশ্লিষ্ট গবেষক শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক মনোবিজ্ঞান বিভাগের ‍অধ্যাপক জন কাসিওপ্পো বলেন, “এটা (গবেষণার ফলাফল) আমাকে বিস্মিত করেছে। আমি এমনটি প্রত্যাশা করিনি। ” তিনি বলেন, “অনলাইনে পরিচয় হওয়াটা খারাপের কিছু না। ”

২০০৫ থেকে ২০১২ সালে বিবাহ করেছেন এমন ২০ হাজার মার্কিন নাগরিককে নিয়ে করা হ্যারিস পোলের জরিপের সহায়তা নেওয়া হয়েছে।

গবেষণায় দেখা গেছে, ৩৫ শতাংশের পরিচয় হয়েছে অনলাইনে। যাদের পরিচয় অনলাইনে হয়নি তাদের ৮ শতাংশের বিচ্ছেদ হয়েছে কিন্তু অনলাইনে সাক্ষাৎওয়ালাদের এ হার ৬ শতাংশ।

অফ-লাইন অর্থাৎ কলেজ বা পানশালায় বা অন্য কোনোভাবে পরিচিত এবং দাম্পত্য জীবনে প্রবেশকারীদের চেয়ে অনলাইনে পরিচয় এবং দাম্পত্য জীবনে প্রবেশকারীদের সংসার জীবনটা সুখে কাটে বলে গবেষণার ফলাফলে বেরিয়ে এসেছে।

আরেক সংশ্লিষ্ট গবেষক অধ্যাপক এলি ফিনকেল গবেষণাটিকে ‘চিত্তাকর্ষক’ এবং ফলাফলকে ‘মজার’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

তিনি বলেন, “এটি একটি ভালো গবেষণা। এটি বলছে যে, অনলাইনে কেউ খুবই চমৎকার রোমান্টিক সঙ্গী খুঁজে পেতে পারে। এটি খুবই বড় ব্যাপার। ”

তবে ‍অনলাইনের মাধ্যমে গড়ে ওঠা দাম্পত্য জীবন বেশি সুখী, সুন্দর বা স্থায়ী-এমনটি বলা আগাম হয়ে যায় বলে মন্তব্য তার।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৯ ঘণ্টা, জুন ০৪, ২০১৩
সম্পাদনা: শরিফুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর, eic@banglanews24.com

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।