ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ ভাদ্র ১৪৩২, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক

কাবুল বিমানবন্দরে তালেবানের হামলা, নিহত ৭

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩:৫৩, জুন ১০, ২০১৩
কাবুল বিমানবন্দরে তালেবানের হামলা, নিহত ৭

ঢাকা: আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল বিমানবন্দরে সোমবার সকালে হামলা চালিয়েছে তালেবান। বিমানবন্দরে অবস্থিত ন্যাটোর বিমান সদর দফতর দখলে নেওয়ার চেষ্টা চালানোর সময় আত্মঘাতী বোমা হামলায় ও পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে তালেবানের সাত সদস্য নিহিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।


 
আফগান পুলিশ জানিয়েছে, এখনও কোনো বেসামরিক নাগরিক ও নিরাপত্তা বাহিনীর কোনো সদস্যের নিহতের খবর পাওয়া যায়নি।

হামলকারীরা রকেটচালিত গ্রেনেড, রাইফেল ও কমপক্ষে একটি বড় বোমা নিয়ে হামলা চালায় বলে জানা গেছে। ।

বিমানবন্দরের এক কর্মকর্তা জানান, হামলার কারণে বিমানবন্দরে সব ধরনের বেসামরিক বিমান চলাচল বন্ধ রয়েছে। হামলায় বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে কতটুকু ক্ষতি হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি।

আফগান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাদিক সিদ্দিকি বলেন, “তারা ঠিক কোনো জায়গায় আক্রমণ করতে চেয়েছিলেন তা এখনো অস্পষ্ট কেননা আক্রমণকারীরা বিমানবন্দরের থেকে একটু দূরেই অবস্থান করছিলেন। মনে হয়েছে তারা বিমানবন্দরের কাছাকাছি যেখানে পারতো সেখানেই আক্রমণের চেষ্টা চালাতো। ”

সিদ্দিকি জানান, হামলায় দুই জন বেসামরিক নাগরিক আহত হয়েছে।

কাবুল পুলিশের সহকারী পুলিশ প্রধান দাউদ আমিন জানান, আক্রমণকারীরা সংখ্যায় ছিলো সাতজন। এদের মধ্যে দুজন আত্মঘাতী হামলায় নিহত হয়েছে, বাকী পাঁচজন পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে।


তালেবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ এ হামলার দায় স্বীকার করে বলেন, তাদের হামলার লক্ষ্য ছিল ন্যাটো বাহিনী।


যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন বিদেশি বাহিনীর হাত থেকে আফগান বাহিনী নিরাপত্তার দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে আফগানিস্তানে তালেবান হামলা বেড়েছে। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী হামলার পর আফগানিস্তান থেকে তালেবানকে উচ্ছেদ করতে অভিযান চালায় ন্যাটো বাহিনী।

বিমান বন্দরে হামলার আগে গত ২৪ মে আফগানিস্তানে জাতিসংঘের অধিভুক্ত  আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা সংযুক্ত একটি অতিথিশালায় তালেবানরা হামলা চালায়। এতে এক পুলিশ, এক প্রহরী ও একজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়। এর আগে ১৬ মে ন্যাটোর গাড়িবহরে একটি আত্মঘাতী বোমা হামলায় দুজন মার্কিন সৈন্যসহ ১৫ জন নিহত হয়।

কাবুল পুলিশ জানায়, হামলাকারীরা বিস্ফোরকভর্তি আত্মঘাতী পোশাক পরে বিমানবন্দরের একটু দূরে পশ্চিম পাশের নির্মানাধীন ভবনে অবস্থান নেয় ও গুলি চালাতে থাকে। তারা বিমানবন্দরের ভেতর হামলা করতে চেয়েছিলো।

পুলিশের বিবৃতি বলা হয়, সেখানে সকাল ৪.৩০টার দিকে একটি বড় ধরনের বিস্ফোরণ হয় এবং এরপর আক্রমণকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর বন্দুক যুদ্ধ হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১১ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০১৩
সম্পাদনাঃ কামরুল হাসান কাইউম ও শরিফুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।