আগরতলা (ত্রিপুরা): ত্রিপুরার আনারস স্বাদে-গন্ধে বিখ্যাত। কয়েক বছর আগেও ছোট এই রাজ্যের অর্থনীতির বিরাট অংশ জুড়ে ছিল আনারস চাষ।
যেসব চাষি বংশ পরম্পরায় আনারস চাষ করতেন, তারা এখন আনারস বাদ দিয়ে করছেন রাবার চাষ। এতে রাজ্যের জলবায়ুর উপরও পড়ছে প্রভাব।
দেশের দক্ষিণ প্রান্ত থেকে রাবারের চারা এনে রাজ্যে চাষ করা হচ্ছে। দ্রুত বাড়ছে চাষাবাদ। অন্য ফসলের তুলনায় বেশি লাভও করছেন চাষি। আর লাভের আশায় মার খাচ্ছে রাজ্যের প্রথাগত সব ফসল। অবস্থা এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, ধান বাদ দিয়েও চলছে রাবার চাষ।
অতিরিক্ত রাবার নির্ভরতা রাজ্যের জলবায়ুর পরিবর্তন ঘটাচ্ছে বলে দাবি পরিবেশবিদদের।
ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে প্রভাব পড়েছে আনারস চাষেও। আগের তুলনায় কমেছে উৎপাদন। আনারস চাষে অভিজ্ঞ চাষি দুলাল চন্দ্র দেব বাংলানিউজকে জানালেন এমনটাই।
তিনি জানান, দিন দিনই কমছে উৎপাদন। এর কারণ আবহাওয়া ও কিছু পারিপার্শ্বিক সমস্যা।
নন্দন নগরের বাসিন্দা দুলাল বাবু দীর্ঘদিন ধরেই জড়িত আনারস চাষে। কিন্তু এখনকার মতো এত কম উৎপাদন আগে কখনো হয়নি বলে জানান তিনি।
আনারস চাষে এ পরিস্থিতির জন্য আবহাওয়া যেমন দায়ী, তেমনি দায়ী সরকারি সাহায্যের অভাব। তার মতে, আনারস যদি কিছু জ্যাম জেলি তৈরির কাজে লাগানো যেত তবে হয়তো বা কিছু আর্থিক লাভ হতো।
এছাড়া এখন ক্ষেত থেকে আনারস তুলতেও চাষিরা এগিয়ে আসছে না। ফলে বাড়ছে সমস্যা। আগে উৎপাদিত আনারস বর্হিরাজ্যেও যেত। এখন সেটা একবারেই নেই বললে চলে।
সরকার যদি আনারস চাষে একটু নজর দেয়, তবে হয়তো কিছুটা সমাধান খুঁজে পাওয়া যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৭ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০১৩
তন্ময়/সম্পাদনা: আসিফ আজিজ, নিউজরুম এডিটর