আগরতলা(ত্রিপুরা): আগামী ২১ জুন এনআইটি আগরতলার পঞ্চম সমাবর্তন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির দীখান্ত অনুষ্ঠানে আসছেন দেশের প্রথম বাঙালি রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জী।
এনআইটি আগরতলার রেজিস্টার সুমন্ত চক্রবর্তী জানান, আগামী ২১ জুন সকাল সাড়ে দশটায় শুরু হবে এনআইটি’র পঞ্চম সমাবর্তন অনুষ্ঠান। রাষ্ট্রপতি প্রনব মুখার্জী আগরতলা থেকে হেলিকপ্টারে পৌঁছাবেন।
তিনি আরও জানান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির খেলার মাঠে এক সঙ্গে তিনটি হেলিপ্যাড তৈরি হয়েছে। এক সঙ্গে যেন তিনটি হেলিকপ্টার নামতে পারে সেজন্য এমন ব্যবস্থা। সেখান থেকে রাষ্ট্রপতি যাবেন এনআইটি’র বিশ্বেশ্বরাইয়া অডিটোরিয়ামে। সেখানে হবে সমাবর্তনের মূল অনুষ্ঠান।
রাষ্ট্রপতি ছাড়া সমাবর্তন অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল দেবানন্দ কোয়ার, মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার, এনআইটি’র ডিরেক্টর অধ্যাপক পি কে বসুর উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানের সভাপতি থাকবেন এনআইটি’র চেয়ারম্যান পি এন সিং। সমাবর্তনে যোগ দিচ্ছেন সার্নে’র অধিকর্তা ডক্টর রোলফ।
আরও আসছেন সার্নে’র লারজ হাইড্রোন কোলাইডার গবেষণার অন্যতম ভারতীয় বিজ্ঞানী বিকাশ সিনহা।
মূল অনুষ্ঠানটিতে বসার ব্যবস্থা থাকছে ৪৮৬ জনের। এর মধ্যে এনআইটি’র শিক্ষক, কর্মচারী, ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক, সাংবাদিকরা রয়েছেন।
সুমন্ত চক্রবর্তী জানান, এবারের সমাবর্তনে সব মিলিয়ে প্রায় ৫১৭ জনকে সম্মানিত করা হবে। যার মধ্যে রয়েছেন ৪২৩ জন ডিগ্রি শিক্ষার্থী, ৭৭ জন এম টেক শিক্ষার্থী, এম সি এ’র চার জন ছাত্র ও এম এস সি’র ১১ জন। এছাড়া ডক্টর রোলফ ও বিকাশ সিনহাকে বিশেষ ডিকজা উপাধি দিয়ে সম্মানিত করা হবে।
এই প্রথম এনআইটি বিদেশি কোনো বিজ্ঞানীকে ডিকজা উপাধি দিয়ে সম্মানিত করছে।
এর আগে এনআইটি আগরতলায় চারটি সমাবর্তন অনুষ্ঠান হয়েছে। প্রত্যেকবারই একজন বিশিষ্ট গবেষক এবং অধ্যাপকে ডিকজা দিয়ে সম্মানিত করা হয়। এবারই প্রথা ভেঙ্গে দু’জনকে একসঙ্গে দেওয়া হচ্ছে ডিকজা।
সমাবর্তনকে সফল করে তুলতে গোটা এনআইটি জুড়ে চলছে ব্যস্ততা। রং করা হচ্ছে প্রায় প্রতিটি দেয়াল, খুঁটি। সংস্কার করা হচ্ছে রাস্তাগুলোকে। সাজিয়ে তোলা হচ্ছে অডিটোরিয়াম।
সুমন্ত চক্রবর্তী জানান, প্রস্তুতি প্রায় সাড়া। এখন চলছে শেষ মুহূর্তের তুলির আঁচ। প্রতিদিন এনআইটি আগরতলাতে এখন প্রায় ১২’শ শ্রমিক কাজ করছেন গোটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিকে সাজিয়ে তুলতে।
তিনি আরো জানান, বর্তমানে সারা দেশে ৩০ টি এনআইটি রয়েছে। তার মধ্যে আগরতলা এনআইটি রয়েছে প্রথম দশটির মধ্যে।
তিনি জানান, আগরতলা এনআইটি একমাত্র এনআইটি যেখানে প্রাক প্রাথমিক থেকে স্নাতকোত্তর পর্যন্ত পড়ানো হয়। অর্থাৎ কেজি টু পিজি। এই প্রতিষ্ঠানের গবেষণা, বিভিন্ন কোর্সে পড়ানোর বিষয় এবং এখান থেকে বছরে যে সংখ্যক ছেলে মেয়ে ক্যাম্পাসিং’এর মাধ্যমে চাকরি পান সে সব বিষয়গুলি বিবেচনা করে আগরতলা এনআইটিকে স্থান করে দেওয়া হয়েছে প্রথম দশে।
রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জী প্রতিষ্ঠানটির আচার্য। ফলে তার আগমনকে ঘিরে আশায় বুক বেঁধেছে গোটা এনআইটি। শিক্ষক থেকে ছাত্র-ছাত্রী সবাই মনে করছেন প্রণব মুখার্জীর সফর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিকে এগিয়ে দেবে অনেকখানি। তাদের অনেক দাবিই পূরণ হবে রাষ্ট্রপতির কাছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০১৩
তন্ময়/সম্পাদনা: জনি সাহা, নিউজুরম এডিটর; নূরনবী সিদ্দিক সুইন, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর