ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত মালিবু সৈকত নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিরোধ রয়েছে সেখানকার স্থানীয় বাড়িমালিক ও জনসাধারণের মধ্যে। এবার সেই লড়াইয়ে নতুন মাত্রা যোগ করলো একটি স্মার্টফোন অ্যাপ।
জেনি প্রাইস নামে এক ব্যক্তির তৈরি এই আইফোন অ্যাপ সৈকতে প্রবেশের সব গোপন পথ ও বাড়িঘরের খুঁটিনাটি তথ্য প্রকাশ করবে।
মালিবু সৈকতের বেশিরভাগ বাড়ির মালিক যুক্তরাষ্ট্রের নামিদামি তারকা ও ধনী ব্যক্তিরা। পিয়ার্স ব্রসনান, ডেভিড জিফেন, মাইকেল ইজনারের মতো হলিউড তারকাদেরও বাড়ি রয়েছে সেখানে। নতুন এই অ্যাপ তাদের প্রাইভেসির জন্য বিরাট হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পরিবেশবাদী লেখক জেনি প্রাইস অ্যাপটি তৈরি করেছেন সৈকত নিয়ে জনসাধারণের লড়াইয়ে সেখানকার বাড়িমালিকদের জব্দ করার জন্য। সাধারণ মানুষের সৈকতে প্রবেশ বন্ধ করার জন্য যেসব নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছিলেন মালিকরা, তার সবগুলো ফাঁকি দিতে দারুণ সহায়ক এই অ্যাপ। সৈকতের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে থাকা নিরাপত্তা ব্যবস্থার ত্রুটি, প্রতিটি বাড়ির অবস্থান ও বর্ণনা, লুকানো প্রবেশপথ, লুকিয়ে সৈকতের সৌন্দর্য উপভোগ করার জায়গা- সবই পাওয়া যাবে।
আইন অনুসারে মালিবুসহ ক্যালিফোর্নিয়ার সব সৈকতের মালিক যুক্তরাষ্ট্র সরকার হলেও ব্যক্তিমালিকানাধীন ওইসব বাড়ির সীমানা এতোই বিস্তৃত যে সাধারণ মানুষের জন্য সৈকতের আর অবশিষ্ট নেই বললেই চলে। এমনকি বাড়িগুলো এতো ঘনবসতি যে দূর থেকেও এর ফাঁক গলে ব্যতিক্রমী সুন্দর এই সৈকতের সৌন্দর্য উপভোগ করা সম্ভব নয়। তাই ধনী বাড়িমালিকদের জন্য সাধারণ মানুষেরা এ সৈকত থেকে সম্পূর্ণ বঞ্চিত বলা চলে।
এছাড়া বিচে জনসাধারণের জন্য ১৭টি প্রবেশ পথ থাকলেও ২০০৫ সালের পর থেকে সেগুলো সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। সৈকতে প্রবেশের জন্য এ পথগুলোর বিকল্পও খুঁজে দেবে জেনি প্রাইসের অ্যাপ।
‘আওয়ার মালিবু বিচেস’ নামে এই অ্যাপ দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা দ্বন্দ্বে নতুন অস্ত্র বলে ভাবছেন অনেকে। নিরাপত্তা ফাঁকি দিয়ে তারকাদের বাড়িঘরের ত্রিসীমানায় ঢুকে পড়বেন জনসাধারণ।
বাড়িমালিকরা একে নতুন উপদ্রব হিসেবে দেখে আইনগত ব্যবস্থায় নেওয়ার চিন্তা করলেও সাধারণ মানুষ বেশ উল্লসিত এই নিয়ে। ইতোমধ্যে কয়েকজন হলিউড তারকার বাড়ির উঠানে ভক্তদের ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে।
শিগগিরই এটি অ্যান্ড্রয়েডের জন্যেও মুক্ত হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৮ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০১৩
সম্পাদনা: হাসান শাহরিয়ার হৃদয়, নিউজরুম এডিটর