কলকাতা: কলকাতার পার্ক স্ট্রিটের ‘মিউজিক ওয়ার্ল্ড’র জন্য এক জোট হয়ে আন্দোলনে নামছে পশ্চিম বাংলার সংগীত জগতের শিল্পী, সুরকার, গীতিকার, মিউজিক কোম্পানির কর্ণধার ও শ্রোতাসহ সংগীতের সাথে সংশ্লিষ্ট সবাই।
পার্ক স্ট্রিটের এই ‘গানের ভুবন’কে বাঁচাতে এগিয়ে এসেছেন ঊষা উত্থুপ, শানের মতো জনপ্রিয় শিল্পীরাও।
২০১১ সালের অক্টোবর থেকেই কাউন্টডাউন শুরু হয়েছে। বুধবার অবশেষে মিউজিক ওয়ার্ল্ড বন্ধের সিদ্ধান্তে সিলমোহর পড়েছে। মিউজিক কোম্পানিগুলিকেও চিঠি পাঠিয়ে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, কোম্পানিগুলি যেন পার্ক স্ট্রিটের স্টোরে নতুন করে আর সিডি-ডিভিডি না পাঠায়। এরপরই মিউজিক কোম্পানিগুলির কর্ণধাররা নিজেদের মধ্যে কথা বলে পথে নামার সিদ্ধান্ত নেন। সংগীত শিল্পীরাও এই আন্দোলনে যোগ দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন।
আশা অডিও-র কর্ণধার দিব্যেন্দুশেখর লাহিড়ী জানিয়েছেন, “ঊষা উত্থুপ, রূপঙ্কর, রাঘব, শ্রীকান্ত, লোপামুদ্রা, সবাই ২০ জুনের সাংবাদিক সম্মেলনে থাকার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন। শানেরও থাকার কথা। চেষ্টা করব প্রেসক্লাব থেকে মিউজিক ওয়ার্ল্ড পর্যন্ত একটা পদযাত্রা করার। আমরা চাই মিউজিক ওয়ার্ল্ডকে বাঁচাতে সমস্ত সঙ্গীতপ্রেমী মানুষ এই পদযাত্রায় শামিল হোন। ”
একই বক্তব্য ‘কসমিক হারমোনি’র কর্ণধার সুমন চট্টোপাধ্যায় ও ‘ইউডি সিরিজ’র কর্ণধার রাজকল্যাণ রায়ের। তারা বলেন “মিউজিক ওয়ার্ল্ড বন্ধ হলে কলকাতার গানের জগত বিরাট ধাক্কা খাবে। ডিভিডি-সিডির ব্যবসা কোমায় চলে যাবে। বারাসতের মতো ঘটনা আরও ঘটবে। ”
বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী রূপঙ্কর বলেন, “আমার প্রায় ১০টা বেসিক অ্যালবাম এবং ১৫-২০টি ফিল্মি গানের অ্যালবাম মিউজিক ওয়ার্ল্ড থেকে মুক্তি পেয়েছে। খুবই খারাপ লাগছে। কলকাতার সিডি-ডিভিডির বাজার শেষ হয়ে গেল। ”
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৮ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০১৩
এসবি/সম্পাদনা: এম জে ফেরদৌস, নিউজরুম এডিটর, এসএস