ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক

ইরানের নির্বাচন: জয় পাচ্ছেন উদারপন্থি রৌহানি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০:১৪, জুন ১৫, ২০১৩
ইরানের নির্বাচন: জয় পাচ্ছেন উদারপন্থি রৌহানি

ঢাকা: ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রাথমিক ফলাফলে উদারপন্থি নেতা হাসান রৌহানি এগিয়ে রয়েছেন। শনিবার ২৬ শতাংশ ভোট গণনায় দেখা গেছে, সাবেক পরমাণু আলোচক রৌহানি প্রায় ৫১ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পেয়েছেন।

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তেহরানের মেয়র মোহাম্মদ বাকের ঘালিবাফ ১৫ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পেয়েছেন।

তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন অভিজাত রেভল্যুশনারি গার্ডের সাবেক প্রধান মোহসেন রেজাই। তিনি ১৫ লাখ ১৮ হাজার ৯৬৪ ভোট পেয়েছেন। ইরানের প্রধান পরমাণু আলোচক সাঈদ জলিলি ১৪ রাখ ৭১২ ভোট পেয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছেন। এর আগে গ্রিনিচমান সময় শনিবার ১টা ৩০মিনিটে প্রকাশিত ফলাফলে তৃতীয় অবস্থানে ছিলেন সাঈদ জলিলি।

অন্য দুই প্রার্থী সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলি-আকবর ভেলায়াতি ও খুব কম আলোচিত সাবেক মন্ত্রী ও উদারপন্থি মোহাম্মদ ঘারাজি যথাক্রমে সাত লাখ ২৯ হাজার ৪৪ ভোট ও এক লাখ ৪৩ হাজার ৩৪৩ ভোট পেয়েছেন।

নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য প্রায় ৭০০ ব্যক্তি মনোনয়নপত্র জমা দিলেও গার্ডিয়ান কাউন্সিল তাদের মধ্যে মাত্র আটজনকে ছাড়পত্র দেয়। পরে দুজন স্বেচ্ছায় প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেয়ায় এ ছয় জন প্রতিদ্বন্দ্বী করেন। ইরানের সংবিধান অনুযায়ী পরপর তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট পদে লড়াইয়ের নিয়ম না থাকায় বর্তমান প্রেসিডেন্ট আহমাদিনেজাদ প্রার্থী হতে পারেননি।

শনিবার নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করা হতে পারে। কোনো প্রার্থী অর্ধেকের বেশি ভোট পেতে ব্যর্থ হন তাহলে নির্বাচনে এগিয়ে থাকা দুই প্রার্থীর মধ্যে ২১ জুন দ্বিতীয় দফায় নির্বাচন হবে।

নির্বাচনের আগে বিশ্লেষকেরা জানিয়েছিলেন, কট্টরপন্থি প্রার্থীরাই জয়ী হবেন। প্রাথমিক ফলাফলে বোঝা যাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের কট্টর সমালোচক ইরানের প্রেসিডেন্ট আহমাদিনেজাদের উত্তরসূরি হতে যাচ্ছেন উদারপন্থি রৌহানি।

শুক্রবার গ্রিনিচমান সময় সাড়ে ৩টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোটগ্রহণের ১০ ঘণ্টা পর তা শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ভোট গ্রহণের সময় ৫ ঘণ্টা বাড়ানো হয়। ভোটকেন্দ্র ভোটারদের উপচে পড়া ভীড়ের কারণে সময় বাড়ানো হয় বলে জানায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ৭০ শতাংশের ওপর ভোট পড়েছে। তবে ২০০৯ সালের নির্বাচনের চেয়ে ১৫ শতাংশ ভোট কম পড়েছে।

ভোটগ্রহণ শেষের পর ছয় প্রার্থীই যৌথভাবে নিজের সমর্থকদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

নির্বাচনী প্রচারণায় ইরানের পরমাণু কর্মসূচি, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা থেকে দেশকে মুক্ত করার বিষয়গুলো প্রাধান্য পায়। নিষেধাজ্ঞার কারণে ইরানের মূল্যস্ফীতি ৩০ শতাংশের বেশি এবং বেকারত্ব দিন দিন বাড়ছে।
ইসরায়েল ও পশ্চিমা দেশগুলোর অভিযোগ, ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরিতে গোপনে পরমাণু কর্মসূচি চালাচ্ছে। কিন্তু ইরান বরাবরই এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৭ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১৩
সম্পাদনা: শরিফুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর, eic@banglanews24.com

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।