ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক

সহকর্মীর দুর্নীতিতে পদত্যাগ করছেন চেক প্রধানমন্ত্রী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪:১৬, জুন ১৭, ২০১৩
সহকর্মীর দুর্নীতিতে পদত্যাগ করছেন চেক প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা: সহকর্মীর দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে চেক প্রজাতন্ত্রের প্রধানমন্ত্রী পিটার নিকাস পদত্যাগ করছেন। অভিযোগের পর রাজনৈতিক অস্থিরতা শুরু হওয়ায়  রোববার এমন ঘোষণা দিলেন সিভিক ডেমোক্রেটিক পার্টির (ওডিএস)  এ নেতা।

একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছে, দলীয় প্রধানের পদেও তিনি আর থাকবেন না।
তার নেতৃত্বাধীন জোটকে নতুন কাউকে খুঁজে নিতে হবে নতুন সরকার গঠনের জন্য।

শুক্রবার আইনজীবীরা নিকাসের চিফ অব স্টাফ জানা নাগইয়োভার বিরুদ্ধে দুর্নীতি আর ক্ষমতার ‍অভিযোগ তুলেন। এর পর থেকেই পদত্যাগের জন্য নিকাসের ওপর চাপ বেড়ে যায়।

একই অভিযোগে ইতোমধ্যে সাবেক দুই সংসদ সদস্য, সাবেক এক মন্ত্রী ও সামরিক গোয়েন্দা বাহিনীর বর্তমান ও সাবেক প্রধানকে আটক করা হয়েছে। একজন বাদে সবাইকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

প্রেসিডেন্ট মিলোস জেমান বলেছেন, বুধবার সরকারি ও বেসরকারি কার্যালয়ে পুলিশি তল্লাশির পর আনা এ অভিযোগ ‘গুরুতর’।

ওই অভিযানে ৮০ লাখ মার্কিন ডলার, ১০ কিলোগ্রাম সোনা ও বিপুল সংখ্যক নথিপত্র জব্দ করা হয়।

রোববার বিকেলে রাজধানী প্রাগে পদত্যাগের ঘোষণা দেয়ার সময় তিনি বলেন, “আমি আমার রাজনৈতিক দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন। আমি আগামীকাল (সোমবার) পদত্যাগপত্র জমা দেব। আমার সঙ্গে পুরো সরকার পদত্যাগ করবে। ”

গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে পদ দেওয়ার বিনিময়ে ঘুষ নিয়েছেন নাগইয়োভা।
প্রায় এক দশক ধরে নিকাসের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে কাজ করছেন নাগইয়োভা। তার বিরুদ্ধে তিন ব্যক্তির ওপর গোয়েন্দাগিরি করার জন্য সামরিক বাহিনীর গোয়েন্দা শাখাকে অবৈধভাবে নির্দেশ দেয়ারও অভিযোগ রয়েছে।
তবে নিকাস নাগইয়োভাসহ অন্যান্য অভিযুক্তদের পক্ষে সাফাই গেয়েছেন। তিনি বলেন, “আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি যে আমি কোনো অসৎ কাজ করিনি এবং আমার সহকর্মীরাও কোনো ধরনের অসৎ কাজ করেনি। ”
বিরোধী সোশ্যাল ডেমোক্রেটস এর আগে হুঁশিয়ারি দেয়, নিকাস পদত্যাগ না করলে পার্লামেন্টে তারা অনাস্থা প্রস্তাব আনবে। নিকাসের মধ্য ডানপন্থি জোটের দুই শরিকও সংকেত দেয়, তারা তাকে আর সমর্থন দিচ্ছে না।
প্রধানমন্ত্রী জানান, তার জোট নতুন কারও নেতৃত্বে সরকার গঠনের চেষ্টা করবে। ২০১৪ সালের জুনের সাধারণ নির্বাচনের আগ পর্যন্ত নতুন সরকার দায়িত্ব পালন করবে। তবে নতুন সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানা গেছে।

তবে চেক প্রজাতন্ত্রের সংবিধান অনুসারে, প্রেসিডেন্ট জোটের মতকে প্রাধান্যও নাও দিতে পারে। তিনি তার পছন্দের কাউকে বসাতে পারেন তত্ত্বাধায়ক সরকারপ্রধান হিসেবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৫ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১৩
সম্পাদনা: শরিফুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর, eic@banglanews24.com

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।