নয়াদিল্লি: প্রাপ্তবয়স্ক কোনো যুগলের সম্মতিক্রমে স্থাপিত যৌন সম্পর্ক বৈধ বিয়ে হিসেবে গণ্য হবে এবং ঐ যুগল স্বামী-স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃত হবেন। এমনটাই জানাল মাদ্রাজ হাইকোর্ট।
গান্ধর্ব বিবাহের নতুন সংস্করণই যেনো ফিরে এলো হাইকোর্টের এ নির্দেশে।
খোরপোশের একটি মামলায় ২০০৬ সালে পারিবারিক আদালতের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আবেদনের ভিত্তিতে বিচারপতি কারনান এই নির্দেশ দেন।
তার বক্তব্যনুসারে, ‘কোনো যুগল যদি তাদের কামনা চরিতার্থ করার পন্থা বেছে নেয় তাহলে তা হলে কিছু বেনজির ক্ষেত্র ছাড়া সম্পর্ক স্থাপন পরবর্তী সময়ের সব পরিণতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সম্পূর্ণ বোঝাপড়ারই সামিল হবে। ‘
তার মতে, মঙ্গলসূত্র, মালা-বদল বা আংটি বদলের মতো ঘটনা শুধুমাত্র সামাজিক সন্তুষ্টি বিধানের জন্য।
যৌন সম্পর্কের কোনও তথ্যপ্রমাণ নিয়ে পারিবারিক আদালতে গিয়ে যে কোনো পক্ষ বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য আবেদন জানাতে পারে। আদালতের এই বিবৃতির ভিত্তিতে যে কোনো সরকারি নথিতে তারা দম্পতি হিসেবে গণ্য হবেন।
এক দম্পতির বিয়ের প্রামাণ্য নথি না থাকা সত্ত্বেও কোয়েম্বাটুরের একটি পারিবারিক আদালত নির্দেশ দিয়েছিল দুই ছেলেমেয়ের জন্য অভিযুক্ত ব্যক্তিকে মাসিক ৫০০ টাকা খোরপোশ দিতে হবে। মোকদ্দমা সংক্রান্ত খরচ হিসেবে দিতে হবে হাজার টাকা।
রায় পুনর্বিচারের আবেদনের ভিত্তিতে বিচারপতি জানান, আবেদনপত্র জমা দেওয়ার দিন থেকে মাসিক ৫০০ টাকা করে খোরপোশ দিতে হবে ওই ব্যক্তিকে।
বাংলাদেশ সময়: ০০০৯ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০১৩
এসপি/সম্পাদনা: কামরুল হাসান কাইউম ও শরিফুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর-eic@banglanews24.com