ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক

কলকাতায় বেড়েছে ধর্ষণ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০:২৬, জুন ২০, ২০১৩
কলকাতায় বেড়েছে ধর্ষণ

কলকাতা: পার্কস্ট্রিট থেকে বারাসাতের কামদুনি, ধর্ষণের ঘটনাগুলি তোলপাড় করে তুলেছে সাধারণ মানুষকে। শহর কলকাতায় নারীরা কতটা নিরাপদ?  

এ প্রশ্নের জন্ম হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকাশিত এক রিপোর্টে।



স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সংস্থা ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর এ রিপোর্টে উঠে এল গত দুবছরে আগের তুলনায় ধর্ষণ বেড়েছে কলকাতায়।

প্রকাশিত এ রিপোর্টে প্রশ্নের মুখে প্রশাসন।

শহরে নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে রাজ্য পুলিশের ডেপুটি জ়েনেরাল (ডিজি) জোড় গলায় বলেছেন, রাজ্যে ধর্ষণের সংখ্যা কমেছে৷ কিন্তু শহর কলকাতার এ বাস্তব চিত্রটা নিয়ে কোনো প্রশ্নের কোন উত্তর দেয়নি প্রশাসন।

ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর তথ্যানুসারে ধর্ষণে রাজ্যের চেয়ে এগিয়ে পশ্চিমবঙ্গ। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর  রিপোর্টে  বলা হয়েছে রাজ্যে ধর্ষণের সংখ্যা কমেছে৷ আর ২০১২ সালে কলকাতায় ধর্ষণের মামলার সংখ্যা বেড়েছে৷

বিতর্ক শুরু হয়েছে এ নিয়ে। বিরোধীরা কোমর বেঁধে ময়দানে নেমে পড়েছে। তারা এটাকে সরকারের ব্যর্থতা বলে দাবি করছেন।

অপর দিকে যুক্তি সাজানো হয়েছে শাসক দলের তরফ থেকেও। তারা বলছেন, আগে পুলিশের কাছে নালিশ করতে ভয় পেত সাধারণ মানুষ। এখন নির্ভয়ে তারা অভিযোগ করছে। আর তাই প্রকাশিত হচ্ছে ধর্ষণের ঘটনাগুলো।

এবার নজর রাখা যাক গত ছয় বছরে কলকাতায় ধর্ষণ হারের পরিসংখ্যানে।

২০০৬-এ মামলা দায়ের হওয়া ধর্ষণের অভিযোগের নিরিখে দেশের  সবকটি শহরের মধ্যে কলকাতা ছিল ১২ নম্বরে।

২০০৭-এ কলকাতায় ৪৪টি ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়। কলকাতার স্থান ছিল ১৩।

২০০৮-এ কলকাতায়  মামলা কমে হয় ৩৫৷ কলকাতার স্থান ছিল ১৬।

২০০৯ সালে  ধর্ষণের নিরিখে ১১ নম্বরে উঠে আসে কলকাতা। অভিযোগ দায়ের হয় ৪২টি মামলার।

২০১০ সালে কলকাতায় ধর্ষণের অভিযোগ কমে দাঁড়ায় ৩২৷ কলকাতার স্থান ছিল ১৭।

২০১১ সালে কলকাতায় ৪৬টি  ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়। এবারও কলকাতার স্থান ১৭।

২০১২ সালে কলকাতায় ধর্ষণের মামলা বেড়ে দাঁড়ায় ৬৮টিতে। ধর্ষণের অভিযোগের নিরিখে দেশের সবকটি শহররে মধ্যে একলাফে ১১ নম্বর স্থানে উঠে আসে কলকাতা।

বাংলাদেশ সময়: ০০১০ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০১৩  
এসবি/সম্পাদনা: কামরুল হাসান কাইউম ও শরিফুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর-eic@banglanews24.com

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।