নয়াদিল্লি: একের পর এক মাও নেতা আটক হওয়ার পরেও মাওবাদী কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ প্রশাসন। বরং নয়া কৌশলে সংগঠন বিস্তার করছে তারা।
সম্প্রতি এ রাজ্যের ছয়টি জেলাকে মাও অধ্যুষিত বলে চিহ্নিত করেছে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি, ২১টি থানা এলাকাকে মাও প্রভাবিত বলে ঘোষণা করা হয়েছে। অবশ্য সমস্যা মোকাবিলায় বিশেষ টাস্ক ফোর্স গঠন করেছে সরকার।
এদিকে রাজ্যের চা বাগানগুলিকে টার্গেট করে মাঠে নেমেছে মাওবাদীরা। কিশোর-যুবকদের দলে টানতে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে হিন্দি সিনেমা। বন্ধ হওয়া চা বাগানগুলোর শ্রমিকদের জড়ো করে হিন্দি ছবি দেখানো চলছে।
এতে এমন ছবি বেছে নেওয়া হচ্ছে যেখানে বন্ধ কারখানার শ্রমিকদের শোষণ এবং নিপীড়নের ঘটনা চলচিত্রায়ন হয়েছে। এমনকী, শোষণ থেকে মুক্তির একমাত্র রাস্তা হিসেবে এই ছবিগুলিতে রয়েছে শ্রমিক বিপ্লব এবং মালিক বিরোধী আন্দোলনের অতি নাটকীয় ফিল্মি দৃশ্য।
এই ছবি দেখে খুব সহজেই অর্ধশিক্ষিত এবং হতদরিদ্র যুবকরা মাওবাদীদের আদর্শে প্রভাবিত হচ্ছে। ইতিমধ্যে আসাম এবং বরাক উপত্যকার কিছু চা বাগানে বহু কিশোর-যুবকই মাওবাদী সংগঠনে নাম লিখিয়েছে।
অন্তত গোয়েন্দাসূত্রে এমনই খবর রয়েছে।
পাশাপাশি, টার্গেট করা হয়েছে বরাকের বাঙালিদের। কারণ, পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝাড়খণ্ডের কিছু এলাকার মানুষের সঙ্গে বরাক উপত্যকার মানুষের ভাষা এবং সংস্কৃতিগত মিল রয়েছে। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েও বরাকের বাঙালিদের মাওবাদে দীক্ষিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে মাও নেতারা।
সংবাদ মাধ্যমের সামনে পুরো বিষয়টি মেনে নিয়েছেন আসাম পুলিশের আইজি (আইন-শৃঙ্খলা) এসএস সিং। তিনি বলেন, যেহেতু নকশাল আন্দোলনের শুরুতে বাঙালিরা জড়িত ছিলেন- তাই পুরনো আবেগকে হাতিয়ার করেছে মাও-নেতারা।
বাংলাদেশ সময় : ১২৪৪ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০১৩
এসপি/ সম্পাদনা: এসএস