নয়াদিল্লি: ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপির) সঙ্গে জনতা দলের (জেডিইউয়ের) সম্পর্ক ছেদের ঘটনায় বিমর্ষ বিজেপি’র প্রবীণ নেতা লালকৃষ্ণ আদভানি। তাই আবারও জোট রাজনীতির প্রাসঙ্গিতা নিয়ে নিজের ভাবনার কথা তুলে ধরলেন তিনি।
তার আপত্তি সত্ত্বেও গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে দল কর্মসমিতির বৈঠকে নির্বাচন কমিটির প্রধান করায় দৃশ্যত ক্ষুব্ধ ও হতাশ আদভানি নিজের অভিব্যক্তি লুকিয়ে রাখেননি।
মোদির মত সাম্প্রদায়িক রাজনীতিকের উত্থানে স্বাভাবিকভাবেই মেনে নিতে না পেরে দীর্ঘদিনের সঙ্গী বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক-ত্যাগ করেছে নীতিশ কুমারের জেডিইউ।
বিজেপির কাছে এটা যে অশনি সঙ্কেত তা বুঝতে পেরে বিরোধী এনডিএ জোটকে টিকিয়ে রাখার উপায় বাতলানোর চেষ্টা করেছেন অশীতিপর আদভানি। এ প্রসঙ্গে বিজেপির প্রতিষ্ঠাতা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ভাবনার কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি।
স্বাধীনতা-পূর্ব ভারতের জাতীয় নেতা শ্যামাপ্রসাদ জোট-রাজনীতির পক্ষে যে সওয়াল করেছিলেন, তাকে সামনে এনে আদভানি বলেন, ‘এনডিএ জোট টিকিয়ে রাখার জন্য শরিকদের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক বজায় রাখা উচিত বিজেপির। ’
জেডিইউয়ের এনডিএ সঙ্গ-ত্যাগের প্রসঙ্গেই যে আদভানি এ মন্তব্য করেছেন তা বলাইবাহুল্য।
কংগ্রেসকে হারাতে বিজেপির অন্যান্য সঙ্গী প্রয়োজন এমনটাই স্পষ্ট জানিয়েছেন আদভানি যা শ্যামাপ্রসাদের ভাবনার সমতুল্য। আদভানি বলেন, ‘কংগ্রেসের একাধিপত্য রুখতে বিজেপিকে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গেও মৈত্রীর সম্পর্ক গড়ে তোলার কথাই বলেছিলেন শ্যামাপ্রসাদ, যা আজও প্রাসঙ্গিক। ’
আদভানির এই মন্তব্য কিছুটা কড়া মনে হলেও, তিনি যে মোদির সাম্প্রতিক উত্থান ও তার প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীর সম্ভাবনা প্রসঙ্গে কঠোর মনোভাবই বজায় রেখেছেন তা স্পষ্ট রাজনৈতিক মহলের কাছে।
বিজেপি সভাপতি রাজনাথ সিং ও দলের অন্যতম সিনিয়র নেতা বেঙ্কাইয়া নাইডুর উপস্থিতিতে দলীয় অনুষ্ঠানে কংগ্রেস-বিরোধী জোটকে শক্তিশালী করা নিয়ে আদভানি এ মন্তব্য করেন।
কারণ, মোদির প্রধানমন্ত্রী পদে প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা প্রকট হওয়ায় তার সমর্থকরা যারপরনাই উচ্ছসিত হলেও দমতে নারাজ আদভানি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৩ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৩
এসপি/সম্পাদনা: কামরুল হাসান কাইউম, নিউজরুম এডিটর, এসএস eic@banglanews24.com