ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক

ইন্দো-বাংলা সর্ম্পক সুদৃঢ় করতে পারে সংবাদ মাধ্যম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, কলকাতা | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০:৩৫, জুন ২৪, ২০১৩
ইন্দো-বাংলা সর্ম্পক সুদৃঢ় করতে পারে সংবাদ মাধ্যম

কলকাতা: ‘ফ্রেন্ডস্ অফ বাংলাদেশ’-এর পক্ষে সোমবার সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত কলকাতার বিড়লা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি মিলয়াতনে (১৫৮২ রাজ ডাঙ্গা মেন রোড) দিনব্যাপী কর্মশালার আয়োজন করে।

কর্মশালায় ‘ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক স্থায়ী করনে দু’দেশের সংবাদ মাধ্যমের ভূমিকা’ নিয়ে আলোচনা করেন মাহফুজ আনাম, বদরুল আহসান, আবেদন খান, মনজুরুল আহসান  বুলবুল, আনিসুল হক, শাহনাজ, জয়ন্ত আচার্য।



উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট চিত্র পরিচালক নাসিরুদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু। কলকাতার সাংবাদিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রন্তিদেব সেনগুপ্ত, শিখা মুখোপাধ্যায়, সুময়া বন্দ্যোপাধ্যায়, মৃদুল দাশগুপ্ত, মানস ঘোষ, আশীষ শূর, পঙ্কজ সাহা প্রমুখ।
    
এদিনের অনুষ্ঠানে কলকাতার ফ্রেন্ডস অফ বাংলাদেশের সভাপতি বিশিষ্ট চিত্র পরিচালক গৌতম ঘোষ তার উদ্বোধনী ভাষণে বলেন,  ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক এক কঠিন মুহূর্তে এসে দাঁড়িয়েছে। এই সময় সংবাদ মাধ্যমকেই এগিয়ে আসতে হবে।

সংবাদ মাধ্যমই একমাত্র পারে কঠিন পরিস্থিতি থেকে মুক্ত করতে। তিনি জানান, বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমের ভূমিকা এপারের সংবাদ মাধ্যমের চেয়ে বহুদিক থেকে এগিয়ে।

বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে কলকাতার কোন দূরত্ব বুঝতে পারিনা। দূরত্ব বুঝতে পারি দিল্লি, মুম্বাই বা ভারতের অন্য রাজ্যে প্রবেশ করলে। কলকাতায় বসে ঢাকা সম্বন্ধে জানতে হলে চোখ রাখতে হয় ল্যাপটপে।

এখানকার সংবাদমাধ্যমগুলো বাংলাদেশের কোন খবরকেই প্রাধান্য দেয় না। কিন্তু বাংলাদেশের সব কাগজ পশ্চিমবঙ্গের বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খবর রোজ প্রকাশিত হয়। বাংলাদেশের জাতীয় প্রেসক্লাবের চায়ের আড্ডায় তা নিয় মনোজ্ঞ আলোচনা হয়। কলকাতায় এসে বিস্মিত হতে হয় কলকাতার কোন টেলিভিশন চ্যানেলে বাংলাদেশের কোন চ্যানেল দেখানো হয় না।

বক্তারা বলেন, এই ভারতই তো আমাদের স্বাধীনতার জন্য তাদের দেশের সৈন্যবাহিনী রক্ত দিয়েছে। আমরা সেই ঋণ কোনও দিন শোধ করতে পারব না। তবে আমরা নিকট প্রতিবেশী দেশ হয়েও কেন আমাদের নিয়ে না ভেবে- বেশি করে ভাবা হয় পাকিস্তান বা কাশ্মীর নিয়ে।

মনে রাখতে হবে পড়শী যদি ক্ষতবিক্ষত হয় তাহলে পাশের মানুষও ভালো থাকতে পারে না। এই অসম বিভেদ মুছতে সংবাদ মাধ্যমের গুরুত্ব প্রচুর। তাই আসুন দু’দেশের সাংবাদিকরা মিলে আমরা ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে সুন্দর ভাবে গড়ে তুলি।
    
আবেদ খান তার বক্তব্যে বলেন, ভারতের বহু পত্র-পত্রিকা রোজই আমি পড়ে থাকি। আমি বিস্মিত হই শাহবাগ আন্দোলন নিয়ে অনেক পরে এপারের মিডিয়া তারা তাদের কলম ধরে। আমরা আপনাদের দিকে তাকিয়ে থাকি আপনারা নিশ্চই আমাদের সমালোচনা করবেন। তবে সেই সমালোচনা যেন তথ্য ভিত্তিক হয়।

বাংলাদেশে অশুভশক্তি আজ পা ঠুকছে। তারা আগামীদিনে বাংলাদেশের শুভবুদ্ধিদের নামের তালিকা করছে। তারা একে অপরকে জানাচ্ছে- ক্ষমতায় এলেই এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বহু মানুষ বলাবলি শুরু করেছে আমরা তো অনেক দিলাম, কিন্তু কোথায় তিস্তার পানি, কোথায় স্থল চুক্তি, আগামীদিনে তিস্তারপানি নিয়ে কিন্তু অনেক দূর গড়াবে তার প্রভাব কিন্তু ভারতেও আসবে। তাই বন্ধুরা অশুভশক্তির বিরুদ্ধে কলম ধরুন শুভশক্তির জয় নিশ্চত করুন।

বাংলাদেশ সময় : ২০০৭ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৩
এসপি/এসবি/ সম্পাদনা: এসএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।