ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক

স্নোডেন লাপাত্তা!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯:৪১, জুন ২৫, ২০১৩
স্নোডেন লাপাত্তা!

ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রের গোপন নজরদারির তথ্য ফাঁসকারী এডওয়ার্ড স্নোডেন কোথায় আছেন কেউ জানে না!

যুক্তরাষ্ট্রের শাস্তি এড়াতে তিনি মে মাসে হংকংয়ে পালিয়েছিলেন । সংবাদ মাধ্যমে মার্কিন নজরদারি খবর প্রকাশিত হওয়ার পর হঠাৎ নিখোঁজ হন।

হংকং থেকে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেয়া হতে পারে-এমন আশঙ্কায় আত্মগোপনে ছিলেন তিনি।

ওয়াশিংটন হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু করলে হংকং ছেড়ে পাড়ি জমান রাশিয়ার উদ্দেশে। হংকং কর্তৃপক্ষ জানায়, মস্কো থেকে ‘নিরাপদ আশ্রয়ে’ যাবার কথা স্নোডেনের।

কিন্তু এখন শোনা যাচ্ছে, তিনি রাশিয়ায় নেই। যে ইকুয়েডরে আশ্রয় চেয়েছিলেন সেখানেও যাননি। প্রিজমের খবর ফাঁসকারীর অবস্থান নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।

ইতোমধ্যে সিআইএর সাবেক বিশ্লেষক স্নোডেনের পাসপোর্ট প্রত্যাহার করে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তার বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তি ও রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি চুরি অভিযোগ এনে মামলা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

২৩ জুন হংকং সরকার এক বিবৃতি জানায়, আইনি ও স্বাভাবিক মাধ্যমে তৃতীয় দেশ খোঁজার জন্য স্বেচ্ছায় এডওয়ার্ড স্নোডেন হংকং ছেড়েছেন। মস্কো হয়ে অন্য দেশে যাওয়ার কথা তার।

জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের কাছে ‘বীর’ স্নোডেন ইকুয়েডরে আশ্রয় চেয়েছেন বলে জানান ইকুয়েডরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিকার্ডো পাতিনো। তিনি টুইট করেন, “তথ্য ফাঁসের পর গত মাসে  স্নোডেন যুক্তরাষ্ট্র থেকে হংকংয়ে পালিয়ে এলেও রোববার সকালে তিনি মস্কোতে এসে পৌঁছেছেন। সেখান থেকে ইকুয়েডরে যেতে পারেন তিনি। ”

মঙ্গলবার আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, পাতিনোর দেশ জানেন না স্নোডেন কোথায় রয়েছেন আর ভ্রমণে কোন তথ্যাদি তিনি ব্যবহার করছেন।

এ রহস্যকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সার্গেই ল্যাভরভ জোর দিয়ে বলেছেন, স্নোডেন রাশিয়া অতিক্রম করেনি।

তিনি ‍জানান, তার সম্পর্কে তারা কিছুই জানেন না। সে কোথায় যাচ্ছে বা যুক্তরাষ্ট্রের আইনে প্রক্রিয়ার সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই।

ল্যাভরভ বলেন, “স্নোডেন নিজেই গমণপথ বেছে নিচ্ছেন। আমরা মিডিয়ার কাছে থেকে জেনেছি। তিনি রাশিয়ার সীমান্ত অতিক্রম করেননি। ”

স্নোডেনর আত্মগোপনে পেছনে রাশিয়ার হাত রয়েছে-যুক্তরাষ্ট্রের এমন ‍অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন’ বলেছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

কিন্তু আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়েছিল, রোববার সকালে মস্কোয় পৌঁছেছেন স্নোডেন।

লন্ডনে এক বছর ধরে ইকুয়েডরের দূতাবাসে আশ্রিত উইকিলিসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ বলেছেন, স্নোডেন ভালো ও নিরাপদে রয়েছে। তবে কোথায় আছে তা তিনি জানাননি।

হংকং থেকে স্নোডেনকে পালাতে দেওয়ায় চীনের সমলোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে বেইজিং ওয়াশিংটনের এ অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন ও অগ্রহণযোগ্য’ অভিহিত করে উড়িয়ে দিয়েছে।

চীনের সাইবারে যুক্তরাষ্ট্র আক্রমণ চালায়-এ তথ্য ফাঁস করে স্নোডেন যুক্তরাষ্ট্রকে চীনের চোখে ‘খলনায়ক’ হিসেবে উপস্থাপন করেছে। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র মায়া কান্না করে যে, চীনের হ্যাকাররা যুক্তরাষ্ট্রের সাইবারের হামলা চালায়। আসলে তারা ‘খলনায়ক’।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৪ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৩
সম্পাদনা: শরিফুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর- eic@Banglanews24.com

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।