কলকাতা: দুর্যোগ পীড়িত উত্তরাখণ্ডে শুরু হোল গণ শবদাহ। বুধবার গভীর রাত থেকে এই শবদাহ শুরু হয়েছে।
প্রায় শেষের মুখে অশনাক্ত মৃতদেহ থেকে ডিএনএ সংগ্রহের কাজও। আর এই কাজ শেষ হবার পরই গণশবদাহ প্রক্রিয়া। গণশবদাহের ব্যবস্থা করে প্রশাসন।
সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে এই শবদাহ করা হচ্ছে। এর জন্য প্রাথমিকভাবে আনা হয়েছিল ৫০টন কাঠ এবং সমপরিমাণ দেশি ঘি। শবদাহের আগে সেনাবাহিনীর তরফ থেকে মৃতদেহের প্রতি প্রথামাফিক শেষ সন্মান জানানো হয়।
গতদুই দিন ধরে বারে বারে পিছিয়ে যাচ্ছিল এই গণ শবদাহের প্রক্রিয়া। প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়- ছড়িয়ে থাকা মৃতদেহ দাহ না করা হলে তার থেকে ছড়িয়ে পড়তে পারে নানারোগ।
অপর দিকে বায়ুসেনার হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার পর স্বজন-সহকর্মী হারাবার যন্ত্রণা নিয়েই আবার উদ্ধার কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছে সেনাবাহিনী। একদিকে আটকে থাকা মানুষকে উদ্ধার অন্যদিকে অসুস্থ পর্যটকদের পরিচর্যা করা দুই দিকই নিপুণভাবে পরিচালনা করছেন সেনা সদস্যরা।
সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে হাসিল এবং বদ্দিনাথ এলাকায় এখনও প্রায় ৩৫০০ জন পর্যটক আটকে আছেন। আবহাওয়া পরিষ্কার থাকলে শুক্রবার অথবা আবহাওয়া খারাপ থাকলে মঙ্গলবারের মধ্যে সম্পূর্ণ উদ্ধার কাজ শেষ হবে।
সরকারিভাবে এখন পর্যন্ত ৮২২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে, ৩৫০ জন এখনও নিখোঁজ। তবে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে কেদারনাথ এলাকায় প্রায় ১০ ফুট উঁচু ধংসাবশেষ জমা হয়েছে তার নীচেও কিছু মৃতদেহ থাকতে পারে বলে অনুমান।
তবে আশার কথা এই যে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলেও শুধু মাত্র মাঝে মাঝে ঝিঝিঝিরি বৃষ্টি হওয়া ছড়া কোন বড় রকমের দুর্যোগের খবর নেই। গত ২৪ ঘণ্টায় উত্তরাখণ্ডের কোন জায়গায় নতুন করে ধস নামার খবর পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১২১১ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০১৩
ভাস্কর সরদার/সম্পাদনা:সম্পাদনা: সুকুমার সরকার, আউটপুট এডিটর