আজ থেকে প্রায় তিন হাজার বছর আগে আশ্চর্য এক রোগ শনাক্ত করেছিলেন গ্রিক দার্শনিক ও চিকিৎসক হিপোক্রেটিস। গ্রিক ভাষায় এর নাম দিয়েছিলেন ‘কারসিনোস’, যার বাংলা অর্থ কাঁকড়া।
এই কারসিনোসকেই আজ আমরা চিনি ক্যান্সার নামে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের এই সাফল্যের যুগে এটি হাতেগোনা কয়েকটি রোগের একটি, যার প্রকৃত প্রতিষেধক এখনও আবিষ্কার করা যায়নি। যাকে এখনও সম্পূর্ণ পরাজিত করতে পারেনি চিকিৎসাবিজ্ঞান। ফলে প্রতিবছর পৃথিবীতে যত মানুষ মারা যায়, তার ১৩ ভাগের জন্য দায়ী এই ক্যান্সার।
প্রিভেনশন ইজ বেটার দ্যান কিওর- প্রবাদটি সবচেয়ে বেশি প্রযোজ্য ক্যান্সারের ক্ষেত্রেই। যেহেতু এর কোনো সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই, তাই ক্যান্সারের হাত থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হচ্ছে প্রতিরোধ বা নিয়ন্ত্রণ। বর্তমানে কেমোথেরাপি, রেডিয়েশন থেরাপি, সার্জারি, ম্যাসেকটোমিসহ যত রকম চিকিৎসাব্যবস্থা আছে, সবই মূলত ক্যান্সারের ঝুঁকি কমিয়ে আনা বা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য।
আর সম্প্রতি এই প্রতিরোধেই যুগান্তকারী এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দরী নারীখ্যাত হলিউড তারকা অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। আজ পর্যন্ত অসংখ্য নারীর জীবন কেড়ে নেওয়া ঘাতক স্তন ক্যান্সারকে রীতিমতো পরাজিত করলেন অসীম সাহসী এক সিদ্ধান্ত নিয়ে।
জোলি ও স্তন ক্যান্সার
গত মে মাসে নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকার মাধ্যমে জোলি ঘোষণা করেন যে তিনি ক্যান্সারের আশঙ্কায় ডাবল ম্যাসেকটোমি করেছেন, অর্থাৎ সার্জারির মাধ্যমে দুই স্তন অপসারণ করেছেন। তিনি জানান, শরীরের কিছু জিনের অস্বাভাবিক মিউটেশনের কারণে তার স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ৮৭ ভাগ এবং ডিম্বাশয় ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ৫০ ভাগ। জোলির মা মারশেলিন বারট্রান্ডও ডিম্বাশয় ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মাত্র ৫৬ বছর বয়সে মারা গিয়েছিলেন। আর গত মে মাসেই স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান জোলির খালা ডেবি মার্টিনও।
তবে বর্তমানে তার নিজের শরীরে ক্যান্সারের কোনো লক্ষণ ছিল না বলে জানান জোলি। তিনি সোজাসাপ্টা কথায় বলেন, “যখন আমি বুঝতে পারলাম যে এটাই বাস্তবতা, সঙ্গে সঙ্গে এ নিয়ে সক্রিয় হওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। যতটা পারা যায় ঝুঁকি কমিয়ে আনতে চাইলাম। ”
বিশ্বের প্রতিটি নারীই স্তন ক্যান্সারের আশঙ্কায় ভোগেন। আর ১২ শতাংশ নারী এতে আক্রান্ত হন। তাদের উদ্দেশ্য করে জোলি বলেন, “আমি আশা করি অন্য নারীরা আমার অভিজ্ঞতা থেকে লাভবান হবেন। ক্যান্সার এখনও এমন একটা শব্দ যা শোনামাত্র মানুষের মনে ভয় জাগে। ”
যাকে নারীর সৌন্দর্যের আদর্শ উদাহরণ বলা হয়, যার পেশার অবিচ্ছেদ্য অংশ এই সৌন্দর্য- সেই নারীর কাছ থেকে এমন একটা খবর শুনে অন্যদের মনে কি প্রতিক্রিয়া হবে, বুঝতে পেরেছিলেন জোলি। তাই লিখেছেন, “ব্যক্তিগতভাবে, আমি মনে করি না আমার নারীত্ব থেকে কিছু হারিয়ে গেছে। আমি একটা কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছি, এজন্য নিজেকে শক্তিশালী মনে করছি। এটা কোনোভাবেই আমার নারীত্ব থেকে কিছু কেড়ে নেয়নি। ”
ম্যাসেকটোমির ফলে জোলির ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ৮৭ শতাংশ থেকে মাত্র ৫ শতাংশে নেমে এসেছে। বর্তমানে তিনি রিকনস্ট্রাকটিভ সার্জারির মাধ্যমে স্তন পুনঃস্থাপন করছেন।
জোলির এমন সাহসী উদ্যোগ ও সচেতনতামূলক ঘোষণা ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে। ডানা-ফারবার ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের ডা. এরিক উইনার বলেন, “এখন চিকিৎসক যদি কোনো নারীকে দুটি স্তনই অপসারণ করতে বলেন, তাহলে রোগী বুঝবেন যে উপযুক্ত কারণেই তা করতে বলা হয়েছে। এই পরিস্থিতিটা অ্যাঞ্জেলিনার কারণে তৈরি হয়েছে। ”
জিনগত ঝুঁকি
জোলির ক্যান্সারের কারণ বিআরসিএ১ নামে একটি জিন। ১৯৯৪ সালে ইউনিভার্সিটি অব উটাহ’র গবেষকরা একে শনাক্ত করেন। কোষের ভেতর যে ডিএনএ থাকে, তাকে স্থিতিশীল রাখার কাজটি করে থাকে এই বিআরসিএ১ জিন। এ কাজটিকে বিআরসিএ১ করে থাকে প্রোটিন তৈরির মাধ্যমে। আর এই জিন সবচেয়ে বেশি প্রোটিন নিঃসরণ করে স্তন টিস্যুর কোষে।
বিআরসিএ১ আবিষ্কার হওয়ার এক বছরের মাথায় বিজ্ঞানীরা একইধরনের আরেকটি জিন শনাক্ত করেন, যার নাম বিআরসিএ২। দু’টি জিনই একই গোত্রের, এবং দু’টিই শরীরে টিউমার প্রতিরোধী হিসেবে কাজ করে। তাই এদের বলা হয় টিউমার-সাপ্রেসর (Tumor-suppressor) জিন।
কিন্তু কোনো কারণে জিনগুলোর স্বাভাবিক কাজের প্রক্রিয়ায় কোনো ত্রুটি বা অস্বাভাবিক মিউটেশন দেখা দিলে ঘটতে পারে উলটো ঘটনা। টিউমার থেকে শরীরকে রক্ষার কাজ যাদের, তারাই তখন সবচেয়ে ভয়াবহ ও ধ্বংসাত্মক কিছু কোষকে বিকশিত হওয়ার সুযোগ করে দেয়, যাদের আমরা ক্যান্সার কোষ বলে জানি। ফলে নিমেষে বহুগুণ বেড়ে যায় ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি। এমনকি স্তন ক্যান্সারের পাশাপাশি ডিম্বাশয়, অগ্ন্যাশয়, প্রোস্টেট ক্যান্সারও হতে পারে এ মিউটেশনের কারণে।
দুই বিআরসিএ জিনে ত্রুটি থাকবে কি থাকবে না, তার অনেকটাই নির্ভর করে পারিবারিক ইতিহাসের ওপর। আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটির হিসাব অনুযায়ী, কোনো নারীর সরাসরি রক্তের সম্পর্কের একজন আত্মীয়, যেমন- বোন, মা বা কন্যা যদি স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত থাকেন, তাহলে ওই নারীর এতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা দ্বিগুণ এবং দু’জন আত্মীয় আক্রান্ত থাকলে সম্ভাবনা তিনগুণ। জোলির পারিবারিক ইতিহাসই বলে দেয় যে তিনি ক্যান্সারের উচ্চ ঝুঁকিতে ছিলেন।
বিআরসিএ ছাড়াও এটিএম, টিপি৫৩, সিএইচকে২, পিটিইএন, সিডিএইচ১, এসটিকে১১ জিনের মিউটেশন ক্যান্সারের কারণ হতে পারে। বংশপরম্পরায় এসব জিনে ত্রুটি থাকার সম্ভাবনা থাকে। তবে এর কোনোটিই বিআরসিএ’র মতো মারাত্মক নয়; এর প্রতিরোধও আরো সহজে করা যেতে পারে।
অবশ্য পরবর্তীতে এ নিয়ে আরও বিস্তৃত গবেষণা হয়েছে। একজন ব্যক্তির শরীরে ত্রুটিপূর্ণ বিআরসিএ পাওয়া গেলে তার নিকটাত্মীয়রা কতোটা ঝুঁকিতে থাকেন, তা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বের করার চেষ্টা করা হলেও এখনও এতে সম্পূর্ণ সফলতা আসেনি। তবে স্বজনদের মধ্যে কেউ ক্যান্সারে আক্রান্ত না থাকলে অন্যদের এতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি নেই বললেই চলে।
ম্যাসেকটোমিই একমাত্র সমাধান নয়
স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকিতে জোলির ডাবল ম্যাসেকটোমি সেরা সিদ্ধান্ত ছিল কিনা, তা জানার জন্য আরো দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হবে। তিনি যদি ক্যান্সারমুক্ত একটি জীবন পার করতে পারেন, তবেই এর উত্তর পাওয়া যাবে। তাহলে কি জোলির মতো যারা ক্যান্সারের ঝুঁকিতে রয়েছেন, স্তন অপসারণই তাদের নিরাপদ থাকার একমাত্র পথ?
মোটেই না। ক্যান্সার প্রতিরোধী ওষুধ ট্যামোক্সিফেন ক্যান্সারের ঝুঁকি ৪০ থেকে ৫০ ভাগ পর্যন্ত কমিয়ে আনতে পারে। বারবার এমআরআই করানোর মাধ্যমে শুরুর দিকে ক্যান্সারের টিউমার শনাক্ত করা গেলে এ ঝুঁকি আরও কমে যায়। আরো মারাত্মক পর্যায়ে স্তনের কিছু অংশ কিংবা কিছু টিস্যু অপসারণ করাই যথেষ্ট হতে পারে। শুধু তাই নয়, বিশেষজ্ঞদের মতে, শুরুর দিকে স্তন ক্যান্সার ধরা পড়ার পর যেসব নারী সম্পূর্ণ স্তন অপসারণ করেন (ম্যাসেকটোমি) এবং যারা তেজস্ক্রিয়তার মাধ্যমে কেবল সংক্রমিত অংশটুকু অপসারণ করেন (লাম্পেকটোমি), তাদের বেঁচে থাকার হার সমান।
তবে ম্যাসেকটোমি বা লাম্পেকটোমি যারা করে থাকেন, তাদের অনেকে একইসঙ্গে উওফোরেকটোমিও করে থাকেন, অর্থাৎ ডিম্বাশয় অপসারণ করেন। কেননা ডিম্বাশয়ে উৎপাদিত হরমোন ইস্ট্রোজেন অনেক সময় স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি আরো বাড়িয়ে দিতে পারে। আর ডিম্বাশয় ক্যান্সারের আলাদা ঝুঁকি তো রয়েছেই।
২০০২ সালে মেমোরিয়াল স্লোয়ান-ক্যাটারিং সেন্টারের এক গবেষণা থেকে দেখা যায়, স্তন অপসারণের পরও যারা ডিম্বাশয় অপসারণ করেন না, তাদের পুনরায় ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার হার ১১ শতাংশ। আর যারা উওফোরেকটোমি করেন, তাদের আক্রান্ত হওয়ার হার মাত্র ৩ শতাংশ। তবে ম্যাসেকটোমি যারা করেন, তাদের ডিম্বাশয়ে ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক কমে যায়।
জোলি শুরুতে ডিম্বাশয় অপসারণের কথা চিন্তা করলেও তার স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি ডিম্বাশয়ের চেয়ে বেশি থাকায় এবং ম্যাসেকটোমির সার্জারি অপেক্ষাকৃত কম জটিল হওয়ায় তিনি স্তনই আগে অপসারণের সিদ্ধান্ত নেন। ফলে মায়ের মতো ডিম্বাশয় ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে গেল তার। তবে স্তন ক্যান্সার থেকে সম্পূর্ণ নিরাপদ থাকার জন্য পরবর্তীতে তিনি ডিম্বাশয়ও অপসারণের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
জোলিকে বলা হয়ে থাকে মেগাওয়াট সুপারস্টার। ২০০৮ সালে তার একটি কন্যাসন্তানের জন্ম হয়েছিল, যার নাম রেখেছিলেন ভিভিয়ান। ২০০৯ সালে ওই নামটি সবচেয়ে জনপ্রিয় এক হাজার মেয়েদের নামের মধ্যে স্থান করে নেয়। এখনও এর অবস্থান ৩২২তম। তার অন্য দুই সন্তান ম্যাডক্স ও শিলহ’র নামও একইভাবে জনপ্রিয় হয়েছিল।
জোলির জনপ্রিয়তা থেকে ধারণা করা যায়, ক্যান্সারের ঝুঁকি শনাক্ত করতে তিনি যে জেনেটিক টেস্টিংয়ের মধ্য দিয়ে গিয়েছেন, আরো হাজার হাজার নারী এখন তাকে দেখে একই টেস্ট করবেন। আর তখনই তৈরি হতে পারে সমস্যা। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, প্রিয় তারকাকে দেখে অনেকেই ক্যান্সার রোধ করতে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি সক্রিয় হয়ে পড়তে পারেন। অথচ জোলির স্তন ক্যান্সার হয়েছে যে কারণে, সেটি মোট স্তন ক্যান্সারের মাত্র ১০ শতাংশের জন্য দায়ী।
ওহিও স্টেট ইউনিভার্সিটির জিন বিশেষজ্ঞ রেবেকা ন্যাগি এ ব্যাপার বলেন, “স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি পরীক্ষার জন্য আগামী কয়েক মাসে জেনেটিক টেস্টিং বাড়বে নিশ্চিত। অথচ এটাও সবার জানা উচিত যে এমনি এমনি এ পরীক্ষার কোনো দরকার নেই, এটি ঠিকও নয়। ”
তিনি জানান, জোলির ঘটনার পর এক নারী বিআরসিএ মিউটেশন পরীক্ষা করাতে এসেছিলেন, অথচ তার পারিবারিক ইতিহাসে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত কেউ নেই। পরীক্ষার পর তার বিআরসিএ’তে কোনো সমস্যা নেই দেখা যায়, তবে অন্য জিনগত ত্রুটি ধরা পড়ে। আতঙ্কিত হয়ে ওই নারী দ্রুত ডাবল ম্যাসেকটোমির মাধ্যমে দুই স্তন অপসারণ করেন। অথচ পরে বিস্তারিত গবেষণায় দেখা যায়, তার এই ত্রুটিতে ম্যাসেকটোমি না করালেও চলতো।
এই ভুল, বাড়াবাড়ি আরো অনেকেই করছেন। যেখানে টিউমারের অংশবিশেষ অপসারণ করাই যথেষ্ট ছিল, সেখানেও ডাবল ম্যাসেকটোমি করাচ্ছেন অনেকে। যেখানে ওষুধ সেবন বা কেমোথেরাপির মাধ্যমেই নিয়ন্ত্রণে রাখার উপায় ছিল, সেখানেও সার্জারি বেছে নিচ্ছেন।
বিশেষজ্ঞরা তাই এখন মনে করছেন, গত কয়েক বছরে স্তন ক্যান্সার নিয়ে বিশ্বজুড়ে অসংখ্য ক্যাম্পেইন এবং পরবর্তীতে জোলির ম্যাসেকটোমি অত্যন্ত কার্যকরী সচেতনতা তৈরি করেছে ঠিক, কিন্তু একইসঙ্গে মানুষকে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ভীত করে ফেলেছে। তাই তারা এ ব্যাপারে যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া আগে আবেগ কিংবা জোলির সিদ্ধান্তকে প্রাধান্য না দিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসরণ করার অনুরোধ করেন তারা। জোলির সিদ্ধান্ত অবশ্যই নারীদের জন্য যুগান্তকারী ও সাহসী, কিন্তু সবার ক্যান্সারের ধরন যে তার মতো নয়- এটাও বুঝতে হবে।
তারপরও যেসব নারীরা সত্যিই স্তন ক্যান্সারের বড় ধরনের ঝুঁকিতে রয়েছেন এবং স্তন অপসারণ ছাড়া কোনো উপায় নেই, তাদের জন্য জোলির কথা, “শেষটা ভালই হতে পারে। আমার সন্তানেরা এমন কিছু দেখবে না যা তাদের জন্য অস্বস্তিকর হতে পারে। একটু ক্ষত শুধু, এর বাইরে তাদের সেই চিরচেনা মা। ”
বাংলাদেশ সময়: ১০৪০ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০১৩
আরআর