নয়াদিল্লি: কাশ্মীরের মাটিতে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নত করার পক্ষেই কথা বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সলমন খুরশিদ। একই সঙ্গে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানিয়ে দিতে ভুললেন না, কাশ্মীর সমস্যা পুরোপুরি অভ্যন্তরীণ বিষয়।
তবে এর জন্য বাইরের কোনো শক্তির নাক গলানো বরদাস্ত করা হবে না বলে জানালেন তিনি।
পাকিস্তানের সদ্য ক্ষমতায় আসা নওয়াজ শরিফ সরকার খানিকটা থিতু হওয়ার পরই দ্বিপক্ষীয় আলোচনা শুরু করতে চাইছে নয়াদিল্লি। পাশাপাশি দু’দেশের মধ্যে আস্থাবর্ধক পদক্ষেপ হিসেবে যা যা করা হয়েছে সেগুলি কার্যকরেরও চেষ্টা চলছে বলে জানান খুরশিদ।
শ্রীনগরের প্রদেশ কংগ্রেস অফিসে রোববার বিকেলে খুরশিদ বলেন, এই মুহূর্তে পরিবেশ অনুকূলেই রয়েছে। বিষয়টি আরো উন্নত হলে তবেই পরবর্তী আলোচনা শুরু হবে। তবে এমন কয়েকটি বিষয় রয়েছে, যেগুলো দু’দেশের সরকার এবং সাধারণ মানুষ কিছু উন্নতি দেখতে চান।
তিনি আরো বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনাকে বিভিন্ন ক্ষেত্র বিশেষেই সীমাবদ্ধ রাখতে চাইছে নয়াদিল্লি। একই সঙ্গে আস্থাবর্ধক পদক্ষেপগুলো চালু হলে দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কে উন্নতি হবে বলেও জানিয়েছেন খুরশিদ।
একই সঙ্গে ক্ষোভ প্রকাশ করে খুরশিদ জানান, বেশ কিছু অনভিপ্রেত ঘটনা পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা প্রক্রিয়ায় বাধার সৃষ্টি করছে।
কাশ্মীর সমস্যা নিয়েও মুখ খুলেছেন খুরশিদ। তিনি বলেন, “আমরা কী করেছি, আদৌ ভুল করেছি কি না এর জন্য আমাদের দিকে আঙুল তোলার কোনো প্রয়োজন নেই। এটা পারিবারিক সমস্যা। আমরা এ নিয়ে পারিবারিকভাবে আলোচনা করব। সেখানে কেউ বলতেই পারেন তিনি ন্যায় পায়নি। এটা পুরোপুরি অভ্যন্তরীণ বিষয়। ”
আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্রার সমাধান করার পন্থা আমাদের হাতে রয়েছে এবং আমরা তাই করবো বলেন খুরশিদ।
তার কথায় সমস্যা শুধু জম্মু-কাশ্মীরেই নেই। পুরো ভারতে সংরক্ষণ, বেকারত্ব, মহিলাদের নিরাপত্তাসহ একাধিক সমস্যা রয়েছে। এগুলোর সমাধানও আছে।
বাংলাদেশ সময় : ১২৩৫ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০১৩
সম্পাদনা: জনি সাহা, নিউজরুম এডিটর