ঢাকা, রবিবার, ২৩ ভাদ্র ১৪৩২, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক

মার্কিন দূতাবাস বন্ধের হুমকি বলিভিয়ার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭:৩৮, জুলাই ৫, ২০১৩
মার্কিন দূতাবাস বন্ধের হুমকি বলিভিয়ার

ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রের গোপন নজরদারির তথ্য ফাঁসকারী এডওয়ার্ড স্নোডেনকে নিয়ে আন্তর্জাতিক সংকট তৈরির উপক্রম হয়েছে। মস্কো থেকে স্নোডেনকে নিয়ে যাচ্ছেন-এমন সন্দেহ বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট ইভো মোরালেসের বিমানে তল্লাসি চালানোর ঘটনাটি নতুন দিকে মোড় নিচ্ছে।

অসম্মানজনক এ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপের দেশগুলোর ওপর বেশ ক্ষুব্ধ ল্যাটিন আমেরিকার নেতারা।

জ্বালানি নেয়ার জন্য স্পেন, ফ্রান্সে অবতরণ করতে চাইলেও মোরলেসের বিমানকে অবতরণ করতে দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। বাধ্যতামূলকভাবে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় বিমান অবতরণ করতে হয়েছে মোরালেসকে। কিন্তু বিমানে তল্লাশি চালিয়ে স্নোডেনকে পাননি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

মঙ্গলবার রাশিয়া থেকে বলিভিয়ায় ফিরছিলেন মোরলেস। মস্কোয় একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন তিনি।

এ ঘটনায় আর্জেন্টিনা, ইকুয়েডর, ভেনিজুয়েলাসহ ল্যাটিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশের নেতারা ইউরোপের সরকারগুলোর সমালোচনা করেছে। বৃহস্পতিবার এক বিশেষ সম্মেলনে মোরলেসে পক্ষে নিজেদের অবস্থান ঘোষণা করেছেন উত্তর আমেরিকার চার দেশের নেতা।

বলিভীয় সরকার এ ঘটনার প্রতিশোধ নিতে নিজ দেশে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দিয়েছে।

মোরলেসের দৃঢ় বিশ্বাস, যুক্তরাষ্ট্রের চাপে ইউরোপীয় দেশগুলো এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে।

মোরালেস বলেন, “মার্কিন দূতাবাস বন্ধ করে দিতে আমার হাত কাপবে না। আমাদের সম্মান, সার্বভৌমত্ব রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াই আমরা রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিকভাবে ভালো রয়েছি। ”

যুক্তরাষ্ট্রকে লক্ষ্য করে তিনি বলেন, “ক্ষমা চাওয়ার কোনো অজুহাত নেই। ”

মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) সাবেক সদস্য এডওয়ার্ড স্নোডেন যুক্তরাষ্ট্রের গোপন নজরদারি কর্মসূচি প্রিজমের তথ্য ফাঁস করে দেওয়ার পর হংকংয়ে পালিয়ে যান। সেখান থেকে ২৩ জুন রাশিয়ায় পাড়ি জমান। ওই সময় থেকেই মস্কোর সেরিমায়েতোভা বিমানবন্দরে রয়েছেন তিনি।

তাকে বিশ্বাসঘাতক আখ্যা দিয়ে তার পাসপোর্ট বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি চুরি ও চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।

কিউবা, ইকুয়েডর, আর্জেন্টিনা, বলিভিয়া, ব্রাজিল, আইসল্যান্ডসহ বিশ্বের ২১টি দেশে রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য আবেদন করেছেন স্নোডেন। রাশিয়ায় আবেদন করলেও নিজেই তা প্রত্যাহার করে নেন তিনি।

সম্প্রতি তিনি ফাঁস করেছেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওপর  গোপনে নজরদারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২১ ঘণ্টা, জুলাই ০৫, ২০১৩
সম্পাদনা: শরিফুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর-eic@banglanews24.com

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।