ঢাকা: বুধবারের আগ পর্যন্ত যেমনি সামরিক অভ্যুত্থানের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছিল, মুরসির পতনের পর কায়রোসহ মিশরের রাজপথ ব্রাদারহুড সমর্থকদের দখলে থাকায় দেশটিতে পাল্টা সেনা অভ্যুত্থানের গুঞ্জন জোরে শোরে ছড়িয়ে পড়ছে।
তবে এ গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়ে সেনাবাহিনীর অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে বিবৃতি দিয়েছে সেনা কর্তৃপক্ষ।
ব্রাদারহুড সমর্থকদের বিক্ষোভের মুখে সেনাবাহিনীর মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা মুরসিকে স্বপদে বহাল রাখতে শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের চাপ দিচ্ছেন এমন খবর উড়িয়ে দিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, “এ ধরনের খবর কেবলই গুজব...এসব মিথ্যা খবর সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে বিভক্তি বাড়ানোর জন্য এবং সেনাবাহিনীর ঐক্যে ফাটল ধরানোর জন্য ছড়ানো হচ্ছে…। ”
সেনা কর্তৃপক্ষ অস্বীকার করলেও পাল্টা অভ্যুত্থানের গুঞ্জনকে উড়িয়ে দিচ্ছেন না দেশটির রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। বিশ্লেষকদের ধারণা, আর যাই হোক একজন গণতান্ত্রিক প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতাচ্যুত করার ঘটনায় কিছুটা হলেও সেনাবাহিনীর মধ্যকার বোঝাপড়ার ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
তার প্রমাণ, ফ্রিডম এন্ড জাস্টিস পার্টির নেতা সাদ এল-কাতাতনি, উপপ্রধান রাশেদ আল-বায়োউমিকে গ্রেফতারের পর ছেড়ে দিয়েছে সেনা কর্তৃপক্ষ। মুরসি সমর্থক জাস্টিস পার্টির সঙ্গে আলোচনায় বসার কথাও বিবেচনা করছে সেনাবাহিনী।
তাছাড়া, সেনাবাহিনীর মাঠ পর্যায়ের পাশাপাশি শীর্ষ পর্যায়েও ব্রাদারহুডের প্রতি দুর্বল এমন একদল সেনা সদস্য রয়েছে যারা ব্রাদারহুডের প্রতি সেনা কর্তৃপক্ষের অতি কঠোরনীতি সহ্য না করতে পারে।
মিশরের ব্রাদারহুড ও মুরসি সমর্থকরা বলছেন, কেবল অল্প ক’দিনের তাহরির স্কয়ার দখলে যদি একটি গণতান্ত্রিক সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা যায়, তবে অবৈধ ক্ষমতা দখলকারীদের হঠাতে লাগাতার রাজপথে অবস্থান করতে প্রস্তুত তারা।
উল্লেখ্য, গত বুধবার গণবিক্ষোভের মুখে সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিসরের প্রথম বারের মতো গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। বর্তমানে তিনি সেনা কর্তৃপক্ষের কাছে গৃহবন্দি আছেন।
তার ক্ষমতাচ্যুতিকে কেন্দ্র করে মিশরে চলমান সহিংসতায় অন্তত ৩০ জন নিহত ও এক হাজারের বেশি লোক আহত হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৪ ঘণ্টা, জুলাই ০৬, ২০১৩
সম্পাদনা: হুসাইন আজাদ, নিউজরুম এডিটর-eic@banglanews24.com