ঢাকা: প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে উৎখাত করার ঘটনায় টালমাটাল অবস্থার মিশরে গৃহযুদ্ধ লেগে যেতে পারে।
গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত সিরিয়ার পথেই হাঁটছে দেশটি।
রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, “ইতোমধ্যে সিরিয়া গৃহযুদ্ধের মধ্যে রয়েছে...। মিশরও একই পথে হাঁটছে। ”
কাজাখস্তানের রাজধানী আস্তানা সফরকালে রুশ প্রেসিডেন্ট এ মন্তব্য করেন বলে জানিয়েছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম রিয়া নভোস্তি।
বুধবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করার ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে এর পক্ষে-বিপক্ষে শুরু হয় মিছিল-বিক্ষোভ। উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে, সেনাবাহিনীর গুলিতে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৪০ জন ও হাজারো লোক আহত হয়েছে।
মিশরের এসোসিয়েটেড প্রেস জানিয়েছে, মুরসিকে সরিয়ে দেয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে তার সমর্থক ও বিরোধীদের মধ্যে সহিংসতায় এক হাজারেরও বেশি লোক আহত হয়েছে।
এদিকে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করাকে ‘অন্যায্য’ হিসেবে উল্লেখ করেছে ইরান।
মুরসিকে ক্ষমতায় পুনর্বহালে তার সমর্থকদের আন্দোলন অব্যাহত রাখা উচিত বলে মন্তব্য করেন ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আব্বাস আরাঘচি।
আব্বাসের বরাত দিয়ে ইরানের সরকারি বার্তা সংস্থা ইরনা জানায়, ‘আন্দোলনের’ (দ্য স্ট্রিটস) মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করা উচিত নয়।
আব্বাস বলেন, “ইসলামপন্থি ও বিপ্লবীদের হতাশ হওয়া উচিত হবে না। উষ্ণ গ্রীষ্ম ও তীব্র শীতের পরেই আসে আরব বসন্ত। ”
তবে মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করার ঘটনাকে ‘ক্যু’ বলেননি তিনি।
১৯৭৯ সালে ইরানের ইসলামি বিপ্লবের পর থেকেই মিশরের সঙ্গে দেশটির কূটনীতিক সম্পর্ক অব্যাহত রয়েছে। মুরসিকে উৎখাতের ঘটনাটি দু দেশের সম্পর্কে প্রভাব ফেলতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০১৩
সম্পাদনা: শরিফুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর-eic@banglanews24.com