ঢাকা, রবিবার, ২৩ ভাদ্র ১৪৩২, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক

সমীক্ষায় এগিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১:২১, জুলাই ৭, ২০১৩
সমীক্ষায় এগিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস

কলকাতা: ভারতের কেন্দ্রীয় ইউপিএ-২ জোট সরকারের প্রধান শরীক কংগ্রেস যেমন মন্ত্রীদের ঘুষ কাণ্ড, কয়লা কেলেঙ্কারি, টেলিকম কেলেঙ্কারিসহ বিরোধী দলের বিভিন্ন চাপের মধ্যে থেকেও কর্ণাটকে ক্ষমতা দখল করেছে, ঠিক তেমনি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যেও সারদা কেলেঙ্কারি, কামদুনিকাণ্ড সব কিছুকে অতিক্রম করে পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস।

এবিপি আনন্দ-নিয়েলসেন যৌথ জনমত সমীক্ষায় এমনই ইঙ্গিতই মিলেছে।

২০০৮-এর পঞ্চায়েত নির্বাচনে দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুর দুটি জেলা পরিষদ দখল করেছিল তৃণমূল। রাজ্যে রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর প্রথম বড় পরীক্ষায় সংখ্যাটা আরও বাড়ার জোরালো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।
 
এবিপি আনন্দ-নিয়েলসেন জনমত সমীক্ষানুযায়ী, পূর্ব মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, বর্ধমান, হাওড়া, হুগলি, নদীয়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বীরভূম ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে পারে তৃণমূল।


সমীক্ষানুসারে, পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া ও উত্তর ২৪ পরগনা এ তিনটি জেলা পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে দূরে থাকলেও এগিয়ে থাকছে তৃণমূল। ২০০৮-এর পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলের নিরিখে এবার ফল অত্যন্ত খারাপ হতে পারে বামদের। শুধুমাত্র জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের দখল এবারও ধরে রাখতে পারে বামেরা। সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে দূরে থাকলেও কোচবিহারে বামেদের এগিয়ে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

২০০৮-এর পঞ্চায়েত নির্বাচনে মালদা ও উত্তর দিনাজপুর এ দুই জেলা পরিষদ কংগ্রেসের দখলে ছিল। এবিপি আনন্দ-নিয়েলসেন যৌথ জনমত সমীক্ষার ইঙ্গিতানুযায়ী, আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে মালদা ও উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদে কংগ্রেসই এগিয়ে রয়েছে। সে সঙ্গে মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদেও এগিয়ে তারা। সব মিলিয়ে জনমত সমীক্ষানুযায়ী, আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৯টি জেলা পরিষদ তৃণমূলের দখলে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এগিয়ে থাকার সম্ভাবনা আরও ৩টিতে।     
    

সমীক্ষানুযায়ী বামেরা ১টি মাত্র জেলা পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠ, এগিয়ে আরও একটিতে। কংগ্রেস একটি জেলা পরিষদেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে সক্ষম না হলেও এগিয়ে রয়েছে তিনটিতে।

এ যৌথ জনমত সমীক্ষানুযায়ী আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে তৃণমূল ৪৩ শতাংশ বামেরা ৩২ শতাংশ, কংগ্রেস ৯ শতাংশ, বিজেপি ২ শতাংশ ও অন্যান্যরা ৪ শতাংশ ভোট পেতে পারে। ১০ শতাংশ মানুষ নির্বাচনের ব্যাপারে কিছু বলেননি।

২০০৮ ও ২০১৩-এর পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোটে শতাংশের পার্থক্য করলে দেখা যাবে,
ভোট শতাংশে তৃণমূল ২০০৮ সালে পেয়েছিল ২৪.৬৪%, ২০১৩-তে ৪৩% (সম্ভাব্য)

 ২০০৮ সালে ভোট শতাংশে বামেরা  পেয়েছিল ৫২.৭৫%, ২০১৩-তে ৩২% (সম্ভাব্য)

ভোট শতাংশ ২০০৮ সালে  কংগ্রেস পেয়েছিল ১৬.৩%, ২০১৩-তে ৯% (সম্ভাব্য)

২০০৮ সালে ভোট শতাংশে বিজেপি পেয়েছিল ২.৯৭%, ২০১৩-তে ২% (সম্ভাব্য)

২০১১ সালের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিধানসভায় সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ছাড়াও বিভিন্ন মন্ত্রীরা পরাজিত হবেন, তা এ সমীক্ষার হাত ধরে প্রথম প্রকাশ পেলেও নির্বাচনের ফল ঘোষণার আগেও কেউ এটা বিশ্বাস করতে পারেননি। তাই এবারের সমীক্ষাকে সবাই গুরুত্ব সহকারে সমর্থন করছেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৩ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০১৩
এসপি/সম্পাদনা:কামরুল হাসান কাইউম ও রাইসুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।