ঢাকা: প্রথমবারের মতো গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করায় সেনা অভ্যুত্থানকে স্বাগত জানালেও মাত্র পাঁচ দিনের মাথায় ‘ইউটার্ন’ নিয়েছে মিশরের প্রভাবশালী রাজনৈতিক দল আল নূর পার্টি।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে নিজেদের মতামত জানানোর কথা থাকলেও ‘সোমবারের গণহত্যা’র প্রতিবাদে সেনাসমর্থিত সরকারের সঙ্গে সব ধরনের সমঝোতা প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে সালাফিপন্থি দলটি।
উল্লেখ্য, মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করে নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণায় সেনা কর্তৃপক্ষকে স্বাগত জানিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী পদে নিজেদের পছন্দের কথা জানানোর কথা ছিল আল নূর পার্টির। এ ব্যাপারে আলোচনায়ও বসার কথা ছিল সোমবার।
কিন্তু গত বুধবারের সেনা অভ্যুত্থানের পর সেনাবাহিনীর গুলিতে এখন পর্যন্ত প্রায় ৭০ জনের অধিক মুসলিম ব্রাদারহুড কর্মী নিহত হওয়ায়, বিশেষ করে সোমবারের ঘটনায় ৪২ জন নিহত হওয়ায় একে ‘গণহত্যা’ আখ্যা দিয়ে সেনা কর্তৃপক্ষ ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে যেকোনো ধরনের সমঝোতা প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে মুসলিম ব্রাদারহুডবিরোধী অতিরক্ষণশীল রাজনৈতিক দলটি।
দলটির মুখপাত্র নাদের বাকার সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, “গণহত্যার প্রতিবাদে সবধরনের সমঝোতা থেকে দ্রুত সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আল নূর পার্টি। ”
বিশ্লেষকরা বলছেন, বুধবার রাত পর্যন্ত মুরসিবিরোধী আন্দোলন এবং সেনা অভ্যুত্থানকে স্বাগত জানায় আল নূর পার্টি। কিন্তু সেনাবাহিনীর কঠোর দমননীতির কারণে নিজেদের রাজনৈতিক অবস্থান পরিবর্তন করে ফেলেছে আল নূর।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, যদি আল নূরের মতোই অন্য দলগুলো সেনাবাহিনীকে সমর্থন করা থেকে সরে আসে তবে মুসলিম ব্রাদারহুডের আন্দোলন আরও চাঙ্গা হয়ে যাবে, এমনকি ব্রাদারহুডের আন্দোলনের মুখে স্বপদে বহালও করা হতে পারে প্রেসিডেন্ট মুরসিকে।
তবে, সেনাবাহিনীর পরবর্তী পদক্ষেপ কী তা বোঝা না গেলেও আল নূর পার্টির এ ইউটার্ন মিশরীয় সেনাবাহিনীকে বেশ বেকায়দায় ফেলে দিয়েছে বলেই মনে করছেন দেশটির রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৭ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০১৩
সম্পাদনা: হুসাইন আজাদ, নিউজরুম এডিটর-eic@banglanews24.com