ঢাকা: শেষ পর্যন্ত মার্কিনবিরোধী ভেনিজুয়েলা সরকারের রাজনৈতিক আশ্রয়ের প্রস্তাবই গ্রহণ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) সাবেক কর্মকর্তা এডওয়ার্ড স্নোডেন।
ক্রেমলিনের শীর্ষ কর্মকর্তা আলেক্সই পাশকভ’র টুইটার বার্তার উদ্ধৃতি দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো মঙ্গলবার এ খবর নিশ্চিত করে।
রাশিয়ান পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির প্রধান পাশকভ তার ব্যক্তিগত টুইটার বার্তায় বলেন, “যেটা ধারণা করা হয়েছিল ঠিক সেটাই হয়েছে, রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য (ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস) মাদুরোর প্রস্তাবেই সম্মত হয়েছেন স্নোডেন। ”
তিনি আরও লিখেছেন, “আপাতদৃষ্টিতে এই প্রস্তাবই স্নোডেনের কাছে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য মনে হয়েছে। ”
তবে প্রকাশ হওয়ার কিছুক্ষণ পরই বিবৃতিটি পাশকভ’র টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে মুছে ফেলা হয়।
এ দিকে, পাশকভ’র এই ঘোষণার পর কারাকাসে যাওয়ার সিদ্ধান্ত জানা গেলেও এই মুহূর্তের বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত শরণার্থী কিভাবে শেরেমেতিয়েভো’র ট্রানজিন এলাকা ছেড়ে ভেনিজুয়েলার উদ্দেশ্যে উড়াল দেবেন এ নিয়েই তুমুল আলোচনা চলছে।
কারণ, মস্কো থেকে কারাকাসের সরাসরি কোনো বিমান-রুট নেই। কারাকাসে দ্রুত যাওয়ার জন্য অন্তত কিউবা হয়ে যেতে হবে এই মুহূর্তে সিআইএ’র ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’র তালিকায় থাকা স্নোডেনকে।
স্নোডেনের অবস্থান নিয়ে রহস্য
পাশকভ’র এই বিবৃতিটি প্রকাশ হওয়ার পর রাশিয়ার জাতীয় বিমান পরিবহন সংস্থার মুখপাত্র ইরিনা দানেনবার্গ বলেন, “আমি জানি না মঙ্গলবার (আজ) সকালেই হাভানার উদ্দেশ্যে যে ফ্লাইটটি ছেড়ে গেছে তাতেই স্নোডেন চলে গেছেন কিনা। আমি কোনো কূল কিনারা খুঁজে পাচ্ছি না। ”
তাছাড়া, বুধবার হাভানার উদ্দেশ্যে মস্কোর কোনো ফ্লাইটও নেই।
উল্লেখ্য, সাধারণ মানুষের ফোনকল ও অনলাইন কার্যক্রমে মার্কিন কর্তৃপক্ষের অবৈধ নজরদারির কথা ফাঁস করে ২০ মে হংকং চলে আসেন গোয়েন্দা কর্মকর্তা স্নোডেন। প্রায় দু’ সপ্তাহ রাশিয়ার মস্কোর শেরেমেতিয়েভো বিমানবন্দরের ট্রানজিট এলাকায় অবস্থানকারী এই মার্কিন তরুণ রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে ২১টি দেশের সরকারের কাছে আবেদন করেন।
জবাবে নিকারাগুয়া, কিউবাসহ স্নোডেনকে আশ্রয় দেওয়ার প্রস্তাব দেয় মার্কিনবিরোধী ভেনিজুয়েলা সরকার।
শেষ পর্যন্ত ভেনিজুয়েলাতেই আশ্রয় নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন স্নোডেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৯ ঘণ্টা, জুলাই ০৯, ২০১৩
সম্পাদনা: হুসাইন আজাদ, নিউজরুম এডিটর-eic@banglanews24.com