ঢাকা: ক্যাফে, হোটেল বা রেস্তোরাঁয় ভোক্তাকে (কাস্টমার) আকৃষ্ট করতে বিজ্ঞাপন-বিলবোর্ড-পোস্টার টাঙিয়ে বা অন্য কোনো মাধ্যমে প্রচারণা চালানোর অন্ত থাকে না মালিক বা দোকানীর।
ভোক্তাকে আকৃষ্ট করার জন্যই অভ্যর্থনার দায়িত্বে সুন্দরী মডেল গার্লদেরও রাখা হচ্ছে হালের অভিজাত শপিংমলগুলোতে।
কিন্তু নিজের ক্যাফে’র প্রবেশ পথে একেবারে খোঁচা মারা বক্তব্য লিখিত একটি নোটিশ টাঙিয়ে স্বাভাবিকভাবেই ব্যবসা করে চলেছেন এক ব্রিটিশ নারী!
তবে, এই নোটিশের কারণে যেন তার ব্যবসা একধাপ বেশি গতিই পেয়েছে। কারণ, নোটিশের কারণে অনেকে উৎসুক হয়েই ঢুকছে তার ক্যাফেতে!
ইয়র্কশায়ারের মার্থা-রেন্য কোলেহ তার ক্যাফের একেবারে সম্মুখে টাঙানো নোটিশে লিখেছেন, “দৃষ্টি আকর্ষণ! সবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, আমি একজন কালো নারী এবং সবসময় কালোই থাকবো। কালো মানুষের প্রতি যদি আপনার অ্যালার্জি থাকে, তবে ভেতরে আসবেন না। কিন্তু আপনি যদি ভাল মানের এবং স্বাস্থ্যকর পরিবেশের খাবার খেতে চান, তবে ভেতরে আসতে পারেন। তাছাড়া, আমি কাউকে কামড়ে দিই না!”
মার্থা বলেন, “ওসেটে যখন অনেক ভোক্তা আমার দোকানে খেতে আসতো তখন অনেক বর্ণবাদী শেতাঙ্গ ক্যাফের দরজা খুলে আমার দিকে তাকিয়ে বাইরে চলে যেত। ”
এ ধরনের বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়ানোর জন্যই এই অভিনব নোটিশ টাঙিয়েছেন বলে জানান ৪৬ বছর বয়সী মার্থা।
তিন সন্তানের জননী মার্থা বলেন, “ভোক্তারা প্রতিনিয়তই আমাকে দেখে চলে যেতেন। ঠিক এ রকমই একদিন একটি পরিবার যখন ক্যাফে এসে ফিরে যাচ্ছে তখন তাদের বলতে শুনেছি, ‘মনে হয় আমরা ভুল জায়গায় এসেছি’!”
মার্থা বলেন, “নিজেকে আড়ালে রেখে তত্ত্বমতো পরীক্ষা করেছি। একজন শ্বেতাঙ্গ বিক্রয়কর্মী রেখে দেখেছি আমার ক্যাফের অনেক ভোক্তা বেড়ে গেছে এবং আমরা অনেক লাভ করতে লাগলাম। কিন্তু যখন আমি আবার কাউন্টারে বসতে শুরু করলাম তখন আবার ফিরে যেতে থাকে ভোক্তারা!”
লাইবেরিয়া থেকে ব্রিটেনে আসা এই নারী গত ১১ বছর ধরে পশ্চিম ইয়র্কশায়ারে বসবাস করছেন। তিনি এখানকার ওয়েকফিল্ডের কাছে ওসেট এলাকায় ‘ইয়েনন ক্যাফে’ পরিচালনা করেন।
মার্থা বলেন, “নোটিশটি টাঙানোর পর এখন যারাই আসে তারা আমাকে প্রত্যাশিতভাবেই দেখে। আমিও বিব্রতবোধ করি না, তারাও না! তবে ভোক্তাদের আকৃষ্ট করতে আমার প্রধান পথ হলো খাবার স্বাস্থ্যকর ও পরিষ্কার রাখা। ”
বাংলাদেশ সময় : ১৫৫৩ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০১৩
সম্পাদনা: হুসাইন আজাদ, নিউজরুম এডিটর-eic@banglanews24.com