নয়াদিল্লি: এক মঞ্চে আসছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতা। বিমানবন্দর বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধেই তাদের এ এক মঞ্চে আসা।
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার কলকাতা ও চেন্নাই বিমানবন্দর পরিচালনার ভার বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও জয়ললিতা পৃথকভাবে এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেছেন। এখন দুই মুখ্যমন্ত্রী এক সঙ্গে এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার জন্য প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে চিঠি লিখবেন। দিল্লিতে এআইএডিএমকে সূত্রে এ কথা জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে এর মধ্যে দুই মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে কথাও হয়েছে বলে জানা গেছে।
কলকাতা থেকে মুখ্যমন্ত্রী একটি চিঠির খসড়া তৈরি করে চেন্নাইয়ে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠাচ্ছেন। তারপর যৌথভাবে এ চিঠি প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো হবে। এমনকি তৃণমূল, কংগ্রেস ও এআইএডিএমকে’র সংসদীয় দলও যৌথভাবে এ বিষয়টি সংসদে উত্থাপন করবে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এরই মধ্যে জাতীয় স্তরে আঞ্চলিক দলগুলোকে একত্রিত করে ফেডারেল মোর্চা গঠনের উদ্যোগ নিয়েছেন। এ বিষয়ে তিনি বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার ও উড়িষ্যার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকের সঙ্গেও আলোচনা করেছেন। এ ব্যাপারে অন্ধ্রের ওয়াইএসআর কংগ্রেস সভানেত্রী জানকী আম্মা ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন। বিমানবন্দর বেসরকরিকরণের এ প্রতিবাদই জয়ললিতা ও মমতাকে এক মঞ্চে এনে দিচ্ছে। যা ভবিষ্যতে রাজনৈতিক রূপও নিতে পারে।
বিমানবন্দর বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে সিপিএম আপত্তি জানিয়েছে। সিটু সাধারণ সম্পাদক তপন সেন প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে বলেছেন। ফলে সংসদে তৃণমূল কংগ্রেস যখন বিষয়টি তুলবে তখন সিপিএমসহ বামপন্থিদের সে আপত্তিতে গলা মেলাতে হবে।
বেসরকারিকরণের প্রতিবাদে বিমানবন্দর কর্মীদের সংগঠন গণ ছুটি নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী অজিত সিং কর্মীদের আশ্বাস দিয়েছেন বিমানবন্দর পরিচালনায় বেসরকারি সংস্থা এলেও বর্তমান কর্মীদের চাকরি অক্ষুণ্ন থাকবে। কিন্তু এটা কর্মীরা মানতে চাইছেন না। তাদের অভিযোগ, যে বিমানবন্দর সরকারি অর্থে তৈরি হয়েছে, তা নামমাত্র মূল্যে বেসরকারি সংস্থার হাতে কেন তুলে দেওয়া হবে?
বাংলাদেশ সময়: ০৩৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০১৩
এসপি/সম্পাদনা: কামরুল হাসান কাইউম, নিউজরুম এডিটর ও শিমুল সুলতানা, অ্যাক্টিং কান্ট্রি এডিটর
eic@banglanews24.com