কলকাতা: রমজানে কলকাতার বিভিন্ন বাজারে অগ্নিমূল্যে ফল বিক্রি রোধ করতে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য সরকার।
শুক্রবার উদ্যানবিদ্যা বিভাগের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, রোজায় কলকাতার সাতটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে দফতরের মোবাইল ভ্যানে করে প্রায় পাইকারি দরে বিভিন্ন ফল বিক্রি করা হবে।
কৃষি বিপণন দফতরের সচিব সুব্রত বিশ্বাস জানান, রমজানের সময় যাতে সাধারণ মানুষ একটু কম দামে ফল পান, তার জন্য শুক্রবার থেকেই এ ব্যবস্থা চালু করা হলো।
জানা গেছে, রাজাবাজার, মেটিয়াবুরুজ, ট্যাংরা, পার্কসার্কাসসহ কয়েকটি জায়গার গুরুত্বপূর্ণ ও জনবহুল মোড়ে ওই ভ্যানগুলি দাঁড়িয়ে থাকবে। সেখান থেকে যতটা প্রয়োজন ফল সংগ্রহ করতে পারবে মানুষ।
রমজান মাস শুরু হতেই একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীর জন্য কলা, তরমুজ, আপেল, শসার মতো ফলের দাম নাগালের বাইলে চলে গিয়েছে। ১২০ টাকার আপেল বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকায়। ন্যাসপতি ও বেদানার দামও প্রতি কেজি ১৫০ টাকা ছাড়িয়েছে। পৌরসভার বিভিন্ন বাজারে রমজানের সময় যাতে ফলের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকে, তার জন্য ইতোমধ্যেই করপোরেশনের ডেপুটি মেয়র ফরজানা আলম পৌরসভার কয়েকটি বাজার পরিদর্শনে যান।
জানা গেছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই এ যৌথ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। মূল্যবৃদ্ধি রোধে গড়া টাস্কফোর্সের নিয়মিত নজরদারি এবং উদ্যানবিদ্যা বিভাগের মোবাইল ভ্যান থেকে ফল বিক্রি হওয়ায় দাম খানিকটা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকতে পারে বলে আশা করছেন রাজ্য প্রশাসন। তবে, ফল বিক্রেতারা জানিয়েছেন, ন্যাসপতি ও বেদানা পশ্চিমবঙ্গের বাইরে থেকে আসে বলে স্বাভাবিকভাবেই এসময় দাম একটু চড়া থাকে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতোমধ্যেই মূল্যবৃদ্ধি রোধে গড়া টাস্কফোর্সের সদস্যদের নির্দেশ দিয়েছেন, ফলের বাজারের উপর যেন নিয়মিত নজরদারি চালানো হয়।
ফোরাম অফ ট্রেডার্স অর্গানাইজেশনের সাধারণ সম্পাদক রবীন্দ্রনাথ কোলে জানান, আমরা নিয়মিত এটা করছি। এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের অফিসারদের সঙ্গে যোগাযোগও রাখছি, যাতে ফলের বাজারের মূল্যবৃদ্ধি রোধ করা সম্ভব হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৩ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০১৩
এসপি/সম্পাদনা: আসিফ আজিজ, নিউজরুম এডিটর