ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ ভাদ্র ১৪৩২, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক

শিবাজি পার্কে প্রাণের শেষকৃত্য

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, নয়াদিল্লি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩:৩৩, জুলাই ১৩, ২০১৩
শিবাজি পার্কে প্রাণের শেষকৃত্য

নয়াদিল্লি: বলিউডে আবারও নক্ষত্রপতন! এবার চলে গেলেন কিংবদন্তি অভিনেতা প্রাণ। শুক্রবার রাতে তার মৃত্যুসংবাদ ছড়িয়ে পড়তেই শোকে স্তব্ধ হয়ে যায় গোটা ভারত।



সূত্র জানিয়েছে, শনিবার দুপুরে নয়াদিল্লির শিবাজি পার্কের শ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে এই মহান শিল্পীর। অসংখ্য অনুরাগীর পাশাপাশি এখানে যে বলিউডের নক্ষত্রদের ঢল নামবে, তা বলাই বাহুল্য।

প্রাণের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং তাঁর শোকবার্তায় বলেছেন, “দেশ এক প্রবাদপ্রতিম অভিনেতাকে হারাল। দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন প্রজন্মকে অভিনয় দক্ষতায় মুগ্ধ করেছেন তিনি। ”

অন্য দিকে মেগাস্টার অমিতাভ বচ্চন ট্যুইট করেছেন, “ভারতীয় সিনেমায় একের পর এক মহীরুহের পতন হচ্ছে। আমাদের চলচ্চিত্র শিল্পের আরও একটা স্তম্ভ চলে গেল। ”  

‘জঞ্জির’, ‘ডন’, ‘অমর আকবর অ্যান্টনি’র মতো সুপারহিট সিনেমায় প্রাণের সঙ্গে অভিনয়ের স্মৃতি এখনও যেন টাটকা অমিতাভের কাছে।

প্রাণের সঙ্গে প্রখ্যাত সুরকার বাপ্পী লাহিড়ি ৫০টির মতো ছবিতে কাজ করেছেন। তিনি বলেন, “চমৎকার, সজ্জন মানুষ। আপাদমস্তক ভদ্রলোক। খুব বড়মাপের অভিনেতা ছিলেন। ”

ভিলেনের অভিনয় করেও তিনি মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছিলেন। চিত্রপরিচালক মহেশ ভাট জানান, “খুব উঁচু দরের অভিনেতা ছিলেন প্রাণ। তাঁর প্রয়াণে যে স্থান শূন্য হল, তা সহজে পূরণ হওয়ার নয়। ”

অভিনেতা অনুপম খের সোস্যাল নেটওয়ার্ক ট্যুইটারে লিখেছেন, “ভারতীয় সিনেমার অন্যতম প্রিয় অভিনেতার জীবনে যবনিকা পড়ল। ”

চিত্রপরিচালক মধুর ভাণ্ডারকর লিখেছেন, “প্রাণ সাহেবের মৃত্যুর ধাক্কা কাটিয়ে ওঠা সহজ নয়। “

অভিনেতা রীতেশ দেশমুখ লিখেছেন, “শের খান, আপনাকে কখনও ভোলা যাবে না। ”

কবীর বেদি, প্রীতি জিনতারা জানিয়েছেন, “এ এক অপূরণীয় ক্ষতি। উনি তাঁর অসংখ্য কীর্তির মধ্যেই জীবন্ত হয়ে থাকবেন। ”

ভারতের কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী মণীশ তিওয়ারি তাঁর শোকবার্তায় বলেছেন, “ভারতীয় সিনেমা আজ এক নক্ষত্রকে হারাল। শুধু ভিলেনের ভূমিকাতেই নয়, সব রকমের অভিনয়েই তিনি সমান স্বচ্ছন্দ ছিলেন। ”

১৯২০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি পুরনো দিল্লিতে জন্মগ্রহণ করেন প্রাণ। বাবা ছিলেন সরকারি চাকুরে। বাবার চাকরি বদলির সুবাদে বিভিন্ন জায়গায় (কাপুরথালা, উন্নাও, মীরাট, দেরাদুন, রামপুর) তাঁর স্কুলজীবন কেটেছে। শৈশব থেকেই চোখে ছিল ফটোগ্রাফার হওয়ার স্বপ্ন। কিন্তু, চলে এলেন অভিনয়ের জগতে।

১৯৪০ সালে পাঞ্জাবি ছবি ‘ইয়ামলা জাট’ এ অভিনয়ের মাধ্যমে রঙিন পর্দায় পা রাখেন প্রাণ । এরপর আর তাঁকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। দেশভাগের পর স্ত্রী ও দুই ছেলেকে নিয়ে তিনি মুম্বাইয়ে চলে আসেন। ৩৫০টির বেশি ছবিতে অভিনয় করে পেয়েছেন বহু পুরস্কার।

বাংলদেশে সময় : ১২৫৪ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০১৩
এসপি/সম্পাদনা: হুসাইন আজাদ, নিউজরুম এডিটর-eic@banglanews24.com

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।