ঢাকা, বুধবার, ১৯ ভাদ্র ১৪৩২, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক

বাশারবিরোধীদের দ্বন্দ্ব চরমে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯:৪৩, জুলাই ১৪, ২০১৩
বাশারবিরোধীদের দ্বন্দ্ব চরমে

ঢাকা: সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে লড়াইকারী যোদ্ধাদের মধ্যে প্রথম থেকেই বিরোধ ছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে এ বিরোধ চরম আকার ধারণ করছে।

নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বের অবসান ঘটাতে সিরিয়ান ন্যাশনাল কাউন্সিল নামে একটি জোট গঠন করা হয়। কিন্তু এতেও বিরোধ কমেনি বাশারবিরোধীদের মধ্যে।
বৃহস্পতিবার আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট বাশারবিরোদী যোদ্ধাদের গুলিতে নিহত হন ফ্রি সিরিয়ান আর্মির (এফএসএ) কমান্ডার কামাল হামামি। বাশারের বিরুদ্ধে মূল লড়াইয়ের বাইরে যুদ্ধের আশঙ্কা করছেন সিরিয়ার সরকার বিরোধীরা।

শনিবার পশ্চিমা সমর্থিত এফএসএ ও আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে ‘পার্শ্ব যুদ্ধের’ (সাইড ওয়্যার) আশঙ্কার কথা জানায় যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদপত্র ওয়াশিংটন পোস্ট।

ওয়াশিংটন পোস্টকে এফএসএ-এর রাজনৈতিক ও সংবাদমাধ্যম সমন্বয়ক লৌয়াই আল-মোকদাদ বলেন, “এফএসএ নেতাদের মেরে ফেলার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। আমরা পার্শ্ব যুদ্ধ চাই না। তাদের সঙ্গে আমরা কোনো লড়াই করতে চাই না। কিন্তু তারা যদি আমাদের লোকের রক্ত ঝড়ায় যেটি তারা করছে, তাহলে আমাদেরও যুদ্ধে জড়াতে হবে। ”

শনিবার সিরিয়ার উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ ইদলিবে এফএসএ-এর সদর দফতরে হামলার বিষয়টি দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির আরেকটি ইঙ্গিত। আল-মোকদাদ এ হামলার ব্যাপারে মন্তব্য না করলেও এফএসএ-এর এক জ্যেষ্ঠ নেতা নিশ্চিত করেছেন, আল-কায়েদা সংশ্লিষ্টরাই হামলা চালিয়েছে।
তিনি বলেন, “পরিস্থিতি চরম খারাপ হতে যাচ্ছে। ”

শনিবার আলেপ্পো শহরের কৌশলগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ বুস্তান আল-কাসর জেলায় এফএসএ ও আল-কায়েদাপন্থি বিদ্রোহীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে আল-জাজিরা জানিয়েছে।

তবে ওয়াশিংটন পোস্টের কাছে এফএসএ কমান্ডার কর্নেল আবদুল জব্বার আকিদি এ সংঘর্ষের ঘটনা অস্বীকার করেছেন।

নিজেদের দ্বন্দ্বের কারণে বাশারকে ক্ষমতাচ্যুত করার যুদ্ধকে শক্তিশালী করতে পারছে না বিদ্রোহীরা। বিশ্লেষকরা বলছেন, সিরিয়ার বিদ্রোহীদের বিভাজনই বাশার বাহিনীকে সুযোগ করে দিচ্ছে সংকটে নিজের আধিপত্য বিস্তার করার।

২০১১ সালের মার্চ থেকে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে লড়ছে বিদ্রোহীরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৪ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০১৩
সম্পাদনা: শরিফুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর-eic@banglanews24.com

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।