ঢাকা: সামুদ্রিক প্রাণীর জন্য অ্যান্টার্কটিকায় বিশ্বের বৃহত্তম দুটি অভয়াশ্রম তৈরির চেষ্টা রাশিয়ার বাধার মুখে আটকে গেল। সামুদ্রিক প্রাণীর অভয়াশ্রম ঘোষণার জন্য জার্মানির ব্রেমারহ্যাভনের ৩ দিন ব্যাপী বৈঠক ১৬ জুলাই সিদ্ধান্তহীনভাবে শেষ হয়।
বিশেষ এ বৈঠক ডাকার আইনি যৌক্তিকতা নিয়ে রুশ প্রতিনিধিদের প্রশ্ন তোলায় স্থগিত হয়ে যায় সামুদ্রিক পাখি, পেঙ্গুইন, তিমিসহ হাজার দশেক সামুদ্রিক প্রাণীর জন্য সংরক্ষিত আবাস্থল তৈরির পরিকল্পনা।
কমিশন ফর দ্যা কনজার্ভেশন অন মেরিন লিভিং রিসোর্সেস (সিসিএএমএলআর) ঘোষণায় অ্যান্টার্কটিকের দুটি অঞ্চল রস সাগর ও পূর্ব অ্যান্টার্কটিকে সামুদ্রিক প্রাণীর জন্য নিরাপদ আবাসস্থল করার কথা বলা হয়ছে।
বিশ্বের ১৩ লাখের বেশি মানুষ অনলাইনে এই সংরক্ষিত সামুদ্রিক প্রাণীর জন্য এ দুটি অঞ্চল থেকে বেছে নেয়ার নির্বাচনে অংশ নেয়।
এখন অক্টোবর পর্যন্ত রাশিয়ার ইতিবাচক সিদ্ধান্তের অপেক্ষা থাকতে হবে সিসিএএমএলআরের অন্যান্য সদস্যদের। ওই মাসে সিসিএএমএলআরের বার্ষিক বৈঠক বসবে অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের দ্বীপ রাষ্ট্র তাসমানিয়ার রাজধানী হোবার্টে।
সিসিএএমএলআর’র ২৫ সদস্যের অধিকাংশই প্রস্তাবের পক্ষে অবস্থান থাকলেও ইউক্রেনের সমর্থনপ্রাপ্ত রাশিয়ার বিরোধিতার কারণে শেষ পর্যন্ত সমঝোতায় পৌঁছা গেল না।
প্রস্তাব গৃহীত হলে সামুদ্রিক পাখি, পেঙ্গুইন, তিমিসহ ১০ হাজারের বেশি সংখ্যক প্রজাতি নিবিড় আবাসস্থল খুঁজে পেত বলে মন্তব্য ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ড লাইফ ফান্ড অ্যান্টার্কটিকের ব্যবস্থাপক বব জুউর।
তিনি আরও বলেন, ‘অ্যান্টার্কটিক সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্যের জন্য খুবই অরক্ষিত একটি সামুদ্রিক এলাকা। আমরা আবেদন করব, পরবর্তী সভায় সিসিএএমএলআর যেন এই প্রস্তাবনাকে বাস্তবে রূপ দিতে পারে’
সিসিএএমএলআর’র ব্যর্থ দুটি প্রস্তাবনার একটির প্রণেতা যুক্তরাষ্ট্র-নিউজিল্যান্ড। তাদের যৌথ প্রস্তাবে রস সাগরের ১৬ লাখ বর্গ কিলোমিটারের ‘সম্পূর্ণ সংরক্ষিত’ অঞ্চলসহ রস সাগরের ২৩ লাখ বর্গ কিলোমিটারকে প্রকল্পের আওতায় আনার কথা বলা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রস্তাবে পূর্ব অ্যান্টার্কটিকের ১৬ লাখ ৩০ বর্গ কিলোমিটারের সাতটি সামুদ্রিক ছোট ছোট এলাকাকে সামুদ্রিক প্রাণীর নিবিড় আবাসস্থল হিসেবে সংরক্ষিত অঞ্চল করার কথা বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪২ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৩
নুসরাত ইসলাম খান/সম্পাদনা: শরিফুল ইসলাম, নি উজরুম এডিটর-eic@banglanews24.com