আগরতলা (ত্রিপুরা): বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তির শতবর্ষ পূর্তি পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ত্রিপুরা রাজ্য সরকার।
এ উপলক্ষে জন্য রাজ্য সরকারের উদ্যোগে বেশ কিছু পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।
মূলত রাজ্য সরকারের তথ্য সংস্কৃতি দপ্তর এ অনুষ্ঠান পালনের উদ্যোগ নিয়েছে। এর জন্য গঠন করা হয়েছে বেশ কিছু কমিটিও। কমিটিগুলি উদ্যোগকে পরিপূর্ণ রূপ দেবে।
রোববার এসব তথ্য জানিয়েছেন উচ্চশিক্ষা এবং তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের মন্ত্রী ভানু লাল সাহা।
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রথম এশীয় হিসেবে নোবেল পুরস্কার পান। তিনি তার গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের জন্য ১৯১৩ সালে নোবেল পুরস্কার পান।
১৯১৩ সালের ১৩ নভেম্বর তৎকালীন নোবেল কমিটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার জন্য তার নাম প্রস্তাব করেন। পরে ওই বছর ১০ ডিসেম্বর রবীন্দ্রনাথকে দেওয়া হয় বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান এবং সম্মানজনক পুরস্কার।
উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী জানিয়েছেন, রবীন্দ্রনাথের নোবেল প্রাপ্তির একশ বছরকে স্মরণ করে বেশ কিছু অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। এসব অনুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত করা হবে রাজ্যের যুবক যুবতীদের। প্রায় দু’মাস ধরে চলবে নানা কর্মসূচি।
রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে ত্রিপুরার যোগাযোগ ছিল খুবই নিবিড়। ১৮৯৯ থেকে ১৯২৬ পর্যন্ত সময়ে রবীন্দ্রনাথ সাতবার ত্রিপুরাতে আসেন। এ রাজ্যের রাজবংশের সঙ্গে ছিল তার আত্মার সম্পর্ক।
তরুণ কবিকে প্রথম স্বীকৃতি দেওয়া হয় ত্রিপুরার রাজবাড়ি থেকে। ত্রিপুরাও ধন্য হয়েছিল তার মতো জগৎ বিখ্যাত একজন মানুষের সান্নিধ্য পেয়ে। ফলে কবির নোবেল পুরস্কার জয়ের শতবর্ষ ত্রিপুরায় পালন হবে উৎসবের মেজাজেই।
রাজ্য সরকারও রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। বর্তমান রাজভবনকে কেন্দ্র করে তৈরি করা হবে রবীন্দ্র গবেষণাগার। রাজভবনটির নাম পুষ্পবন্ত প্রাসাদ। এ নাম দিয়েছিলেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ। এই বাড়িটির বয়স আজ ৯৬ বছর।
১৯২৬ সালে রবীন্দ্রনাথ যখন শেষবার ত্রিপুরায় আসেন, সেবার তিনি ছিলেন এই পুষ্পবন্ত প্রাসাদেই। যা আজকের রাজভবন। তাছাড়া আগরতলা শহরের উপরে সবচেয়ে বড় মিলনায়তন তৈরি হচ্ছে রবীন্দ্রনাথের নামে। এতে খরচ হচ্ছে তিন কোটি টাকা। থাকছে প্রায় দেড় হাজার আসন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৬ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১৩
তন্ময়/সম্পাদনা: আসিফ আজিজ, নিউজরুম এডিটর