ঢাকা: মানুষের অদ্ভুত সব শখের শেষ নেই। শেষ নেই অদ্ভুত সব উৎসবেরও।
কি অবাক হচ্ছেন! শুরুতে একটু অবাক হওয়ারই কথা। কিন্তু উৎসবের ছবিগুলোর দিকে যদি একবার চোখ বুলান তবে হয়তো বলবেন, পৃথিবীর যত সুখ কাদার মাঝে-এটাই বিশ্বাস!
বিচিত্র এ উৎসব সত্যি অবাক করার মতো। আর শুনে আরও অবাক হবেন, দক্ষিণ কোরিয়ায় পৃথিবীর সবচেয়ে বড় এ মাড ফেস্টিভ্যালে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কয়েক লাখ মানুষ প্রতিবছর অংশ নেয়।
১৯ জুলাই শুরু হওয়া ২০১৩ সালের উৎসবের শেষ দিন ২৮ জুলাই। এবছর এতে অংশ নিয়েছেন প্রায় তিন লাখ দেশি বিদেশি পর্যটক।
পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াতে প্রতি বছর নানা পদক্ষেপ নেয় কোরিয়ান কর্তৃপক্ষ। রাজধানী সিউলের দক্ষিণে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরের নির্জন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত শহর বোরেওয়ংয়ে এ উৎসব প্রতিবছর অনুষ্ঠিত হয়। এবার বসেছে ১৬তম আসর।
এ উৎসবের শুরুর গল্পটাও বেশ মাজার। কাদার কসমেটিক গুণাবলী প্রসঙ্গে সচেতনতা বাড়াতেই শুরু হয়েছিল মাড ফেস্টিভ্যাল। ধীরে ধীরে তা রূপ নেয় বার্ষিক উত্সবে।
উৎসবের আকর্ষণ বাড়াতে যোগ করা হয় নানা ধরনের খেলা ও প্রতিযোগিতা। মাড রেসলিং, মাড কিং কনটেস্ট, মাড ফায়ারওয়ার্ক কনটেস্ট, মাড স্লাইডিং প্রভৃতির সমন্বয়ে এ ফেস্টিভ্যাল সত্যি হয়ে দর্শনীয়, আকর্ষণীয়। উত্সবে অনেকেই আসেন সপরিবারে। তাদের জন্য এবার থেকে আলাদা ফ্যামিলি জোনও রাখা হয়েছে।
পর্যটকদের জন্য অনেক কোরিয়ান রেস্তোরাঁকে পরিণত করা হয়েছে পিজা ও হ্যামবার্গার জয়েন্টে। এছাড়াও কোরিয়ান সাশিমি রেস্তোরাঁর হো-জিপ বা গ্রিলড ফিশও পর্যটকদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়।
বোরেওয়ং পাহাড়, সাগর এবং দ্বীপ পরিবেষ্টিত অসাধারণ সৌন্দর্যের উৎস হওয়ায় অসংখ্য পর্যটক এ ফেস্টিভ্যালে যোগ দিতে আরও বেশি তাগিদ অনুভব করেন। এছাড়া প্রায় ৩৬টি মূল্যবান সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এর বাড়তি আকর্ষণ।
সারা বিশ্বের মানুষই যে কম বেশি উৎসব প্রিয়, দক্ষিণ কোরিয়ার এই মাড ফেস্টিভ্যাল তার উৎকৃষ্ট প্রমাণ।
বাংলাদেশ সময়: ০৪০০ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০১৩
সম্পাদনা: আসিফ আজিজ, নিউজরুম এডিটর