নয়াদিল্লি: বিশ্বে প্রতি ১২ জনের মধ্যে অন্তত একজন মানুষ ক্রমিক ভাইরাল হেপাটাইটিসে আক্রান্ত। এ ভাইরাসের ফলে শুধুমাত্র ভারতেই প্রতি বছর আড়াই লক্ষ মানুষের মৃত্যু ঘটছে।
হেপাটাইটিস রোগের পেছনে এখনও সচেতনতার অভাবকেই দায়ী করছেন চিকিৎসকরা। আর তাই নিয়ে বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবসের প্রাক্কালে চিন্তার ছাপ স্পষ্ট দেখা গেল চিকিৎসকদের মধ্যে।
রোববার কলকাতার অ্যাপোলো হাসপাতালের ইনস্টিটিউট অফ গ্যাসট্রোএনট্রোলজি অ্যান্ড এন্ডোস্কোপির ডিরেক্টর মহেশ গোয়েঙ্কা বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস উপলক্ষে এক সাংবাদিক সম্মেলনে হেপাটাইটিসের ভয়াবহতার দিকগুলো তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘এ, বি, সি, ডি এবং ই মিলিয়ে মূলত পাঁচ ধরনের হেপাটাইটিস দেখা যায়।
তার মধ্যে হেপাটাইটিস বি এবং সি-তে মানুষ বেশি সংক্রমিত হয়। এ ভাইরাসের ফলে লিভার ক্যানসার বা লিভার সিরোসিস রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
হেপাটাইটিস এ ও ই পানি আর খাদ্য থেকেই হয়। তবে নির্দিষ্ট কিছু ভ্যাকসিন নেওয়া হলে এ এবং বি ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়াকে প্রতিরোধ করা সম্ভব। ’
তবে এখনও হেপাটাইটিস সি-এর কোনও ভ্যাকসিন তৈরি হয়নি। কিন্তু এইচআইভির থেকেও বেশি ভয়ঙ্কর এ ভাইরাসে গোটা বিশ্বে ১৩০-১৭০ মিলিয়ন মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে।
এদিন চিকিৎসক দীপঙ্কর গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘হেপাটাইটিস একটি সাইলেন্ট কিলার। তবে মানুষের মধ্যে এখনও সচেতনতার অভাব রয়েছে। এইচআইভি নিয়ে অনেক কথা বলা হলেও হেপাটাইটিস নিয়ে সেভাবে কিছু শোনা যায় না। ’
তিনি আরও বলেন, ‘লিভার ট্রান্সপ্ল্যানটেশন বা প্রতিস্থাপনের দিক থেকেও অনেক সমস্যা দেখা যায়। প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম ট্রান্সপ্ল্যানটেশন হয়।
কারণ খরচের পাশাপাশি লিভার পাওয়া নিয়ে অর্থাৎ ডোনার-এর খোঁজ পেতেও একটা সমস্যা তৈরি হয়। তাই এ রোগ প্রতিরোধে নির্দিষ্ট বুস্টার বা ভ্যাকসিন নেওয়া অবশ্যই জরুরি। সেদিক থেকেও মানুষের মধ্যে অনেক অনীহা দেখা যায়। যা কখনোই কাম্য নয়’
বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০১৩
এসপি/সম্পাদনা: কামরুল হাসান কাইউম, নিউজরুম এডিটর-eic@banglanews24.com