ঢাকা: ক্ষমতাসীন মুসলিম লীগ সমর্থিত মামনুন হুসাইন পাকিস্তানের ১২তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন।
বেসরকারি ফলাফল ঘোষিত হওয়ার পর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সরকারি ফলাফল ঘোষণা করে মামনুনকে প্রেসিডেন্ট ঘোষণা দেন নির্বাচন কমিশন প্রধান ফখরুদ্দিন ইব্রাহীম।
কেন্দ্রীয় পার্লামেন্ট ও প্রাদেশিক অ্যাসেম্বলির সদস্যদের ভোটে সম্পন্ন এই নির্বাচনের ফলাফলে দেখা যায়, নওয়াজ শরিফ সমর্থিত মামনুন পেয়েছেন ৪৩২ ভোট, অন্য দিকে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইমরান খানের তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থিত প্রার্থী ওয়াজিহ উদ্দিন আহমদ পেয়েছেন মাত্র ৭৭ ভোট।
মামনুনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার মাধ্যমে ঐতিহাসিকভাবে শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর সম্পন্ন করলো পাকিস্তান।
জানা গেছে, ভারতে জন্মগ্রহণকারী মামনুনের পরিবার উপমহাদেশ ভাগের পর করাচিতে চলে যায়। ১৯৯৯ সালে পর রাজনীতিতে যোগ দেওয়া সদ্য সাবেক এই ব্যবসায়ী নেতা ভোট চলাকালে রাজধানী ইসলামাবাদে তার সমর্থকদের উদ্দেশে বলেন, তিনি দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
এর আগে বিকেলে বেসরকারি ফলাফল উল্লেখ করে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো মামনুনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার খবর জানায়।
সিন্ধ প্রদেশের সাবেক গভর্নর মামনুন পেশায় একজন ব্যবসায়ী। গত সেপ্টেম্বরে মেয়াদ শেষ হওয়া বিদায়ী প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির স্থলাভিষিক্ত হলেন তিনি।
এর আগে তারিখ পরিবর্তন নিয়ে বিতর্ক এবং এ নিয়ে সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির দল পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) বয়কটের মধ্য দিয়েই নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়।
ইমরান খানের তেহরিক-ই-ইনসাফ ও অন্যান্য রাজনৈতিক দল প্রার্থী দিলেও শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের আস্থাভাজন মামনুনই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন।
পরামর্শ বা মতামত গ্রহণ ছাড়াই তারিখ পরিবর্তন করার অভিযোগ এনে নির্বাচন বয়কট করে প্রধান বিরোধী দল পিপিপি।
অবশ্য ক্ষমতাসীন মুসলিম লীগ ও তাদের মিত্রদলগুলো দাবি করে, রমজানের শেষ এবং ঈদুল ফিতরের শুরুর দিকে নির্বাচন নিয়ে জটিলতা তৈরি হওয়ার আশঙ্কায় আবেদন করা হলে ৬ আগস্টের নির্বাচন ৩০ জুলাই সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৮ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০১৩
সম্পাদনা: হুসাইন আজাদ, নিউজরুম এডিটর/আরআর- eic@banglanews24.com