ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ ভাদ্র ১৪৩২, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক

টেলিভিশন গেম শোতে শিশু উপহার!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১:২৮, জুলাই ৩০, ২০১৩
টেলিভিশন গেম শোতে শিশু উপহার!

ঢাকা: প্রতিযোগিতার ময়দানে নিজেকে এগিয়ে রাখতে গণমাধ্যমগুলো নানা উদ্যোগ হাতে নেন, তৈরি করেন বিচিত্র সব অনুষ্ঠান। এরই ধারাবাহিকতায় বিশ্বের টেলিভিশনগুলোতে প্রচারিত হচ্ছে নানা ধরনের রিয়েলিটি শোসহ বিভিন্ন গেম শো।

এসব অনুষ্ঠানের বিজয়ী পান নানান খেতাব, সঙ্গে নগদ অর্থ।

কিন্তু কেউ কি শুনেছেন গেম শোতে জয়ী হয়ে কেউ ‘শিশু’ পুরস্কার পেয়েছেন। হ্যাঁ, এমনটি হয়েছে। পাকিস্তানের এক টেলিভিশনের প্রাইম টাইমের গেম শোতে অংশ নিয়ে সন্তানহীন সুরাইয়া বিলকিস একটি শিশু পুরস্কার পেয়েছেন।

সুরাইয়া বিলকিস বলেন, ‘আমি কখনও ভাবিনি আমাকে এ শিশুটি দেয়া হচ্ছে। আমি খুবই খুশি। ’
আরও একটি শিশু উপহার দেয়া হবে সামনের শোতে।

জিও টেলিভিশনের ‘আমান রমজান’ নামের অনুষ্ঠানে বাবা-মা পরিত্যক্ত শিশুটিকে বিলকিসের হাতে তুলে দেয়া হয়। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন পাকিস্তানের ধর্মীয় স্কলার, টেলিভিশন মেগাস্টার আমির লিয়াকত হুসাইন। টেলিভিশনের পর্দায় আসার কারণে ধর্মীয় এ স্কলারকে নিয়ে বিতর্ক রয়েছে পাকিস্তানে।

‘দ্য প্রাইস ইস রাইটের’ উর্দু সংস্করণ আমান রমজান। এ অনুষ্ঠানে কুরআন নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে অংশগ্রহণকারীকে দেয়া হয় পুরস্কার। অনুষ্ঠানটির প্রায় ৫শ ‘অন্ধ ভক্ত’ রয়েছে। বিজয়ীদের মোটরবাইক, মাইক্রোওয়েভ ওভেন, ওয়াশিং মেশিন ও ফ্রিজ দেয়া হয়।

অনুষ্ঠানের গত সপ্তাহের এপিসোডে শিশুটিতে তুলে দেয়া হয় বিলকিস ও তার স্বামীর হাতে। শিশুটিকে তুলে দেয়ার সময় লিয়াকত হুসাইন বলেন, ‘এই সুন্দর মেয়েটিকে আবর্জনার স্তূপে কেউ ফেলে গেছে। দেখুন সে কত সুন্দর আর নির্দোষ!’

ইতোমধ্যে নতুন সন্তানের নাম দিয়ে ফেলেছেন শিশুটিকে গ্রহীতা দম্পতি। তার নাম দেয়া হয়েছে ফাতিমা।

হুসাইন বলেন, ‘ক্রিসমাসে সান্তা ক্লাউস প্রত্যেকে উপহার দেয়-এটি খ্রিস্টানদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের জন্য রমজান আসলে বিশেষ সময়, তাই মানুষকে খুশি রাখা এবং তাদেরকে পুরস্কৃত করা গুরুত্বপূর্ণ। ’

শিপা ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশেন নামের একটি বেসরকারি সংস্থা বাবা-মা পরিত্যক্ত শিশু দুটিকে পেয়েছে। তারাই জিও টিভি কর্তৃপক্ষের কাছে শিশু দুটিকে হস্তান্তর করেছেন। সংস্থাটি জানায়, প্রতিমাসে তারা এমন ১৫টি শিশু পায়। রাস্তায়, আবর্জনা স্তূপে ফেলা রাখা হয় এসব শিশুকে।

পাকিস্তানে বিয়ে বহির্ভুত সন্তান জন্ম দেয়া পাপ হিসেবে মনে করা হয়। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের সঙ্গে কারও সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে দোষীকে ভোগ করতে হয় কঠিন শাস্তি।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৩ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০১৩
সম্পাদনা: শরিফুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর-eic@banglanews24.com

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।