কলকাতা: সামনেই খুশির ঈদ। পবিত্র রমজান মাস শেষে ঈদ।
সেই বৃষ্টিকে উপেক্ষা করেই ঈদের বাজারে ভীড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। পাশাপাশি ইফতার সামগ্রী থেকে শুরু করে পোশাক-আশাকসহ প্রায় সবকিছুতেই দাম বেড়েছে। বস্তুত, সাঁড়াশি আক্রমণের পরেও এতটুকু খামতি নেই ঈদের এক সপ্তাহ আগের বাজারে। ইফতারের পর রাজাবাজার হোক বা নিউমার্কেট- এন্টালি মার্কেট বা মল্লিকবাজার সর্বত্রই ব্যস্ততা তুঙ্গে ঈদের শেষ মুহূর্তের কেনাকাটায়।
সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার পর কার্যত তিল ধারণের জায়গা নেই এই সব বাজারে। তবে দাম বেড়ে যাওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা। নিউমার্কেট চত্বরে প্রতিদিনই চিপস বিক্রি করতে দেখা যায় রফিকুল হককে। ‘ঈদের বাজার সেরেছেন? প্রশ্নটার জিজ্ঞেস করতই মুখটা ফ্যাকাসে করে বললেন, এখনও হয়নি।
ব্যবসার অবস্থা ভালো নয়। হাতে আরও কয়েকদিন রয়েছে। ছেলের জন্য একটা জুতো কিনতে হবে। ’ বস্তুত, এবার যে সাধ ও সাধ্যের মধ্যে ফারাক রাখছে পোশাক-আশাকের দাম সেটা স্বীকার করে নিয়েছেন ছোট ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে বড় ব্যবসায়ী এমনকী মধ্যবিত্তরাও।
মারকুইস স্ট্রিটের বিখ্যাত দোকান ‘কটন গ্যালারি’র এক কর্মচারী বললেন, ‘গত কয়েক বছর ধরেই শার্ট, পাঞ্জাবি, কুর্তা, ফ্রক, শাড়ি সমস্ত কিছুর দামও বেড়ে চলেছে। ঈদের আগের এই সময়টা দাম কিছুটা হলেও বেশি থাকে। ’
তবে জিনিসপত্রের দাম বাড়লেও তা থেকে যে মুখ ফেরায়নি মানুষজন, সে কথাও বলেন তিনি। বিভিন্ন দোকান ঘুরে জানা গিয়েছে, কয়েক বছর ধরে এই সময় গতানুগতিক পাঞ্জাবি, কুর্তা বা ফ্রকের চেয়ে জিনস, ফ্যাশানেবল টি-শার্ট বা শাড়ি-আনারকলি শালোয়ার বেশি পছন্দ।
শুধু জামাকাপড় নয়, জুতো, আতর, টুপি, রোশনাই আলো দাম বেড়েছে সব কিছুরই। সঙ্গে আবার দোসর হয়েছে সারাব্যাপী হালকা বৃষ্টি। আর সেই জাঁতাকলে পড়ে সমস্যায় পড়েছেন ক্রেতারা। বেজায় মন খারাপ আট থেকে আশি সবারই।
গত বছর কেজি প্রতি ১০০-১২০ টাকায় যে লাচ্ছা বিক্রি হয়েছে, তা এ বছর বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৫০ টাকায়। খুব ভালোটা ১৯০ টাকায়। সিমাই বিকোচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। শহরের একটি বিখ্যাত দোকানে সিমাই কিনতে এসেছিলেন সফিকুল রহমান। সিমাই, লাচ্ছা, কাজু, কিসমিস কিনে রেরনোর সময় জানিয়ে গেলেন, সব কিছুরই দাম বেড়ে গিয়েছে। তবে ঈদের বাজার তো করতেই হবে। ক্রেতাদের আপশোস, ‘দামটা একটু কম হলে ভালো হত। ’
বাংলাদেশ সময় : ১২৪৪ ঘণ্টা, আগস্ট ০১, ২০১৩
এসপি/ সম্পাদনা: এসএস