ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ ভাদ্র ১৪৩২, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক

পৃথক রাজ্যের দাবিতে উত্তাল সারা ভারত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫:০৪, আগস্ট ১, ২০১৩
পৃথক রাজ্যের দাবিতে উত্তাল সারা ভারত

নয়াদিল্লি: বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য নয়, দাবি দেশ টুকরো কর। ভারতের ২৯তম রাজ্য হিসেবে তেলেঙ্গানার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হতেই, আবদার বেড়ে গিয়েছে অন্যদের।

গোর্খাল্যান্ড থেকে বড়োল্যান্ড, উত্তরপ্রদেশ থেকে মহারাষ্ট্র জোরদার হয়েছে বিচ্ছিন্ন হওয়ার হুঙ্কার।

আগামী লোকসভা ভোটে যিনি সরকার গঠনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারেন সেই মায়াবতী উত্তরপ্রদেশকে চার ভাগে ভাগ করার দাবি জানালেন। তার দাবি, ‘উত্তরপ্রদেশকে বুন্দেলখণ্ড, পূর্বাঞ্চল, অবধ ও পশ্চিম উত্তর প্রদেশ, এ চার ভাগে বিভাজন করা হোক। ’

মায়াবতী তেলেঙ্গানার গঠনকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, তিনি যখন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তখন একেবারে শেষ দিকে রাজ্য বিধানসভায় এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিয়েছিলেন। এখন তার দাবি, কেন্দ্রীয় সরকারে উত্তরপ্রদেশ থেকে যে কংগ্রেস মন্ত্রীরা আছেন তারা যেনো বিভাজনের দাবি নিয়ে সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করেন। পাশাপাশি তিনি গোর্খাল্যান্ড, বিদর্ভসহ সব ছোট রাজ্যের দাবি সমর্থন করেছেন।

বিজেপি নেত্রী উমা ভারতীর দাবি, বুন্দেলখন্ডকে আলাদা রাজ্য করতেই হবে। কংগ্রেস সাসংদরা কেউ পূর্বাঞ্চল, কেউ রোহিলখণ্ডের দাবি করছেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী  আরএলডি নেতা অজিত সিং চান পশ্চিম উত্তরপ্রদেশকে আলাদা রাজ্য হরিৎপ্রদেশের মর্যাদা দেওয়া হোক।

গোর্খাল্যান্ড নিয়ে রাজ্যে আলোচনা তো আছেই। ক্রমশ সুর চড়ছে বিদর্ভ নিয়েও। শারদ পাওয়ারের ন্যাশনাল কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি) যে এ দাবিকে সমর্থন করে তা জানিয়ে এ দিন প্রফুল প্যাটেল বলেন, ‘মানুষ যদি চায় তাহলে আমরা তাদের পাশে আছি। তাদের দাবিকে তো মর্যাদা দিতেই হবে। ’

কংগ্রেস নেতা বিলাস মুত্তেমরেরও দাবি জানিয়েছেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিদর্ভকে আলাদা রাজ্যের মর্যাদা দেওয়া হোক। বিজেপির বিদর্ভের নেতারাও আলাদা রাজ্য চান।

পৃথক বড়োল্যান্ডের দাবি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শিণ্ডের সঙ্গে দেখা করার জন্য বৃহস্পতিবার দিল্লি এসে আলোচনা করেছেন অসমের নেতারা।

বৃহস্পতিবার  জম্মু ও কাশ্মিরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা বলেন, ‘আন্দোলন হবে এবং তার ভিত্তিতে পৃথক রাজ্য হবে, এ প্রবণতা খুবই বিপজ্জনক। ’ তবে ওমর আব্দুল্লার এ বক্তব্যে কংগ্রেস থেকে শুরু করে কেউই আপাতত কান দিচ্ছেন না।
    
ভারত ভেঙে ভাগ করার এ প্রবণতার মধ্যে অবশ্য মানুষের আবেগের থেকে বেশি রাজনীতি ও ভোটের সহজ হিসেবকেই দেখছে ওয়াকিবহাল মহল। তাই ঝাড়খণ্ড, ছত্তিশগড়ের মতো সফল রাজ্যের যুক্তিতে ছোট রাজ্যের  দাবিই তীব্র হতে চলেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ১, ২০১৩
এসপি/সম্পাদনা: কামরুল হাসান কাইউম, নিউজরুম এডিটর- eic@banglanews24.com

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।