ঢাকা: সামাজিক যোগাযোগ সাইট ব্যবহারকারী প্রতি পাঁচ শিশুর মধ্যে একজন নেতিবাচক অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়। এর মধ্যে রয়েছে ভীতি প্রদর্শন, অশ্লীল বার্তা, সাইবার আক্রমণ ও কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে ভাবার জন্য চাপ প্রয়োগ।
ন্যাশনাল সোসাইটি ফর প্রিভেনশন অফ ক্রুয়েলটি টু চিলড্রেন (এনএসপিসিসি) নামে ব্রিটেনভিত্তিক একটি শিশুসংস্থার জরিপে এসব জানা গেছে।
১১ থেকে ১৬ বছর বয়সী এক হাজার ২৪ জন শিশুর উপর জরিপটি চালানো হয়। নভেম্বরে জরিপের ফলাফল নিয়ে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে।
শিশু ও কমবয়সীরা ইন্টারনেটের আওতায় আসার ফলে কি ধরনের সমস্যা হচ্ছে, তা জানতে গবেষণাটি চালায় এনএসপিসিসি।
সংস্থাটি জানায়, ফেসবুক, টুইটার ও ইউটিউব ব্যবহারকারীদের একটি বড় অংশের বয়স ১৩ বছরে নিচে।
সবচেয়ে বেশি শিশু যে খারাপ অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয় তা হলো ভীতি প্রদর্শন ও অপমান। সাধারণত ছদ্মনামে শিশুদের প্রতিক্রিয়া দেখার জন্য এসব করা হয়।
উল্লেখ্য, চলতি মাসের শুরুতে ব্রিটেনে ১৪ বছর বয়সী হান্নাহ স্মিথ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আক্রমণাত্মক বার্তার শিকার হয়ে আত্মহত্যা করেছিল।
গবেষকদের একজন ক্লেয়ার লিলি এ ব্যাপারে বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ সাইটে আক্রমণের শিকার হওয়ায় একটি শিশু মনে করবে জীবন শেষ করে দেওয়া ছাড়া আর কোনো পথ নেই- এটা কল্পনাও করা যায় না। ’
তিনি জানান, তাদের গবেষণা থেকে শঙ্কিত হওয়ার মতো ফলাফলই বেরিয়ে আসছে। বিশেষ করে ১১ ও ১২ বছর বয়সী শিশুদের ওপর সাইবার আক্রমণ ও অপমানের প্রভাব নিয়ে তাদের প্রতিবেদনে বিস্তারিত জানানো হবে।
পরিস্থিতি হাতছাড়া হয়ে যাওয়ার আগেই এর মোকাবেলা করা প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
ক্লেয়ার বলেন, ‘আমরা চাই এসব অপব্যবহারের বিরুদ্ধে শিশুদের কথা বলার আত্মবিশ্বাস থাকুক। যাতে তারা একাকী কিংবা নিঃসঙ্গ বোধ না করে। ’
যেসব সামাজিক যোগাযোগ সাইট অপব্যবহার রোধ করতে পারে না, সেসব ব্যবহার না করার জন্য গত সপ্তাহে অনুরোধ জানিয়েছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেমিড ক্যামেরন।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১৩
সম্পাদনা: হাসান শাহরিয়ার হৃদয়, নিউজরুম এডিটর