ঢাকা: শিশু পাচারকারী ডাক্তারের সন্ধান পেল চীনের পুলিশ। উত্তর চীনের আলোচিত যমজ শিশু পাচারের ঘটনাসহ আরও ২৬টি শিশু বিক্রির অভিযোগে শানঝি প্রদেশের ফুপিং হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগের সহকারি পরিচালক ঝ্যাং শুজিয়াকে আটক করল তারা।
যমজ শিশু বিক্রি ছাড়াও ঝ্যাংয়ের বিরুদ্ধে ২৬টি শিশু পাচারের অভিযোগ রয়েছে।
অবশেষে পুলিশ উদ্ধার করে বাবা মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিয়েছে চুরি যাওয়া যমজ শিশুদের। এ যমজ শিশু চুরির অভিযোগই উঠেছিল ঝ্যাংয়ের বিরুদ্ধে। যমজ শিশু অপহৃতের এ ঘটনা নিয়ে উত্তর চীনে শিশু পাচার কেলেঙ্কারির রটনা রটে যায়। বিশ্বজুড়েও শুরু হয় আলোচনা।
পুলিশ শনিবার শানজি প্রদেশের ফুপিং হাসপাতালে বাবা মায়ের কাছে শিশুদের ফিরিয়ে দেয়। যমজদের বাবা কি কুনফেং সোমবার টেলিফোনে সিএনএনকে বলেন, ‘তারা সম্পূর্ণ সুস্থ ও ভাল আছে। আমি এবার আশা করছি চিরদিনের জন্য আমরা একসাথে পরিবারে বাস করতে পারব। এটা আমার স্ত্রীর জন্য একটা বিস্ময়কর চমক। উত্তেজনার বশে সে ঠিকমতো খেতে ও ঘুমাতে পারছেনা। ’
ঝ্যাং যমজ বাচ্চাদের চুরি করে আলাদাভাবে দুই পরিবারের কাছে বিক্রি করে দেয়।
গত ২৯ মে যমজ শিশুদের জন্মের পর ঝ্যাং তাদের বাবা মাকে বুঝিয়েছিল যে শিশুদের স্বাস্থ্যের অবস্থা খুবই খারাপ। তাই তারা যেনো তাদের বাচ্চাদের ছেড়ে দেয়।
যমজ শিশুদের মা ওয়াং ইয়ানইয়ান জানান, ওই সময় ডাক্তার খুবই চিন্তার ভাব করছিল। সে তাদের জানায় বাচ্চাদের জন্মগত সমস্যা রয়েছে। বাচ্চাদের ব্রেইনে মারাত্মক সমস্যা হবে। এমনকি তারা পক্ষাঘাতগ্রস্ত হতে পারে।
সে আরও জানায়, জন্মের পর সে তার বাচ্চাদের দেখতে পায়নি। অনেকবার বলা সত্ত্বেও তাকে তার বাচ্চাদের দেখতে দেওয়া হয়নি।
এছাড়া ডাক্তার ঝ্যাং পারিবারিক বন্ধু হওয়ায় ওয়াং কখনোই ভাবতে পারেননি যে ঝ্যাং তার বাচ্চাদের বিক্রি করবে।
চীনের একটি স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, পুলিশ এরই মধ্যে ওই এলাকায় শিশু বিক্রির ৫৫টি ঘটনা সম্পর্কে জানতে পেরেছে। এর মধ্যে ২৬টি ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগের ভিত্তিতে ঝ্যাংকে সন্দেহ করা হচ্ছে।
শিশু পাচারের সন্দেহে ঝ্যাংসহ আরও ৮ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
যমজ শিশু উদ্ধারের পর আরও তিনটি শিশু উদ্ধার করেছে তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৩
সম্পাদনা: কামরুল হাসান কাইউম, নিউজরুম এডিটর- eic@banglanews24.com