ঢাকা: বলিভীয় কারমেলো ফ্লোরেস লরা পৃথিবীর সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি! গত মাসে ১২৩ বছর বয়সে পাঁ দিয়েছেন তিনি। কিন্তু এখনও মোটামুটি সুস্থ তিনি।
কারমেলো ফ্লোরেস লরার বাড়ি বলিভিয়ার রাজধানী লাপাজ থেকে ৫০ মাইল দূরে পাহাড়ী গ্রাম ফ্রাসকিজিয়ায়। জাতীয় পরিচয়পত্রে দেখা গেছে, ১৮৯০ সালে জন্ম তার।
জানা গেছে, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের একজন স্বাক্ষী তিনি। যুদ্ধের সময় আইমারার এ অধিবাসীর বয়স ছিল ২৪। তরুণী বয়সে রানী এলিজাবেথের সিংহাসনে আরোহনের সময় লরার বয়স ছিল ৬২।
পেশায় কৃষিজীবী লরা তিন সন্তানের বাবা। তার নাতি-নাতনির সংখ্যা ১৬, পুতি-পুতনির সংখ্যা ৩৯। ১০ বছর আগে স্ত্রীকে হারিয়েছেন লরা।

দীর্ঘ জীবনের গোপন রহস্যের কারণটি বলিভিয়ার একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেছেন, দৈনিক দীর্ঘ পথ হাটা এবং কখনও পাস্তা বা চিনি না খাওয়াই তার এ গোপন রহস্যের অন্যতম কারণ।
জীবনের অধিকাংশ সময় তিনি খেয়েছেন প্রোটিন ও অ্যামিনো অ্যাসিড সমৃদ্ধ কুইনোয়া প্রজাতির এক ধরনের প্রাণী।
তিনি বলেন, ‘আমি কখনই অলস দিন কাটাই নি। আমার স্ত্রীকে সবসময় রান্নায় সহযোগিতা করতাম। আমরা শুধু বনে বেড়ে ওঠা প্রাণী খেতাম। আমরা অধিকাংশ সময় ভোঁদড়জাতীয় এক ধরনের প্রাণী খেতাম। আমি এখনও প্রতিদিন দীর্ঘ পথ হাটি। ’
বলিভিয়ার বাইবেলকালীয় এই ব্যক্তির বয়স সঠিক হলে তিনিই হবেন বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি! বর্তমানে জাপানের ১১৫ বছর বয়সী মিসা ওকাওয়ার অধিকারী বিশ্বের সবচেয়ে বয়সী ব্যক্তির খেতাবটি।
শুধু তাই নয়, ফরাসি নারী জ্যাঁন ক্যালমেন্তের রেকর্ডটিও ভাঙবেন লরা। ক্যালমেন্তে ১৯৯৭ সালে ১২২ বছর বয়সে মারা যান।
বিশ্বের সবচেয়ে বয়সী ব্যক্তির স্বীকৃতি পেতে গিনেস বুক অব রেকর্ডসের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে লরার ডকুমেন্ট যাচাই-বাছাই করতে হবে।
লরা বলেন, ‘আমার বয়স অবশ্যই ১০০ বা এর বেশি হবে। ’
জন্ম সনদ না থাকলেও লরার জন্ম তারিখ নিশ্চিত করা হয়েছে ব্যাপ্টিজম সনদের (খ্রিস্ট ধর্মে দীক্ষাদান উৎসব) ভিত্তিতে। ব্যাপ্টিজম সনদে লেখা তারিখই বলিভিয়ায় জন্মের সঠিক তারিখ হিসেবে বিবেচিত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০১৩
সম্পাদনা: শরিফুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর-eic@banglanews24.com