ঢাকা: বিশ্বের অন্যতম আলোচিত ও সমালোচিত ফরাসি আইনজীবী জ্যাক ভার্জেস মারা গেছেন। সমালোচকদের কাছে তিনি ‘দি ডেভিলস অ্যাডভোকেট’ নামে পরিচিত ছিলেন।
তার মক্কেলদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন ফিলিস্তিনিদের পক্ষে সহানুভূতিশীল বিখ্যাত সন্ত্রাসবাদী কার্লোস দি জ্যাকেল, যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত নাৎসি নেতা ক্লস বারবি, হলোকাস্ট নামে অভিহিত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইহুদি নিধনযজ্ঞ অস্বীকারকারী বিখ্যাত ফরাসি দার্শনিক রজার গারাওদি প্রমুখ। এছাড়া তিনি যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক ক্ষমতাচ্যুত ও ধৃত ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের মামলাও লড়তে চেয়েছিলেন, যদিও শেষ পর্যন্ত তাকে নিয়োগ দেয়নি সাদ্দামের পরিবার।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৮৮ বছর। শুক্রবার তিনি মারা যান। ফরাসি বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান বার্তা সংস্থা এএফপিকে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ফরাসি কূটনীতিক পিতার ঔরসে জন্ম নেওয়া ভার্জেসের মাতা ছিলেন ভিয়েতনামিজ। থাইল্যান্ডে জন্ম নিলেও পিতার চাকরিসূত্রে তিনি বেড়ে ওঠেন ভারত মহাসাগরে অবস্থিত ফরাসি দ্বীপ লা রি ইউনিয়নে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে তিনি জেনারেল চার্লস দ্য গলের নেতৃত্বে ফরাসি প্রতিরোধ বাহিনীতে যোগ দেন। যুদ্ধের পর ফরাসি কমিউনিস্ট পার্টিতে সদস্যপদ গ্রহণ করলেও পরবর্তীতে চেকস্লোভাকিয়ায় সোভিয়েত আগ্রাসনের প্রতিবাদে কমিউনিস্ট পার্টি ত্যাগ করেন তিনি।
পঞ্চাশের দশকে ফরাসি আধিপত্যবাদ বিরোধী প্রতিরোধ সংগ্রামে আলজেরীয় স্বাধীনতাকামীদের পক্ষে মামলা লড়ে প্রথম আলোচনায় আসেন তিনি।
জ্যাক ভার্জেস মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আলজেরীয় স্বাধীনতাকামী জামিলা বুরেদকে বিয়ে করেন তিনি। মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করলেও ব্যাপক আন্তর্জাতিক চাপের মুখে জামিলাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় ফরাসি সরকার। কম্বোডিয়ার খেমাররুজ নেতা পলপটেরও ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন ভার্জেস।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১৩
সম্পাদনা: রাইসুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর